এই মুহূর্তে জেলা

ইউক্রেনে থেকেও গোলার আঁচ পায়নি, ব্যান্ডেলের বাড়িতে ফিরলো পুষ্পিতা !

সুদীপ দাস, ৩ মার্চ:- যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইউক্রেনে আটকে ছিলো চুঁচুড়ার বিনোদিনী গার্লস হাই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী পুষ্পিতা চৌধুরী। বছর ২২-এর পুষ্পিতার বাড়ি চুঁচুড়া থানার ব্যান্ডেল নিউ কাজিডাঙ্গা এলাকায়। বাবা শ্যামল শ্যাম চৌধুরি ভারতীয় রেলে কর্মরত। তিনি দমদমে মেট্রো স্টেশনে কর্তব্যরত। মা শিউলি চৌধুরী গৃহবধু। দুই মেয়ের মধ্যে ছোট পুষ্পিতার ইচ্ছামত ডাক্তারি পড়াতে সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়েছেন চৌধুরী দম্পতি। কিন্তু ভারতবর্ষে থেকে মধ্যবিত্ত এই সাধারন জাতির পরিবারে থেকে পুষ্পিতার দেশে পড়া হয়নি। বাধ্য হয়েই পৌঁছেছিলো সুদূর ইউক্রেনে। ইউরোপের ২য় বৃহত্তম এই দেশের একাংশ উঝওর্ড রাজ্যে উঝওর্ড জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তারির প্রথম ধাপ এমবিবিএস পড়তে ভর্তি হয়েছিলেন পুষ্পিতা। সবেমাত্র এবছর ২৬শে জানুয়ারি ইউক্রেনে পারি। কিন্তু মাসখানেকের মধ্যেই গত ২৪ শে ফেব্রুয়ারী রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমনের সামান্য আঁচও পায়নি পুষ্পিতা।

ভালোয় ভালোয় ভারত সরকারের মিশন গঙ্গায় চেপে দেশে ফিরে সে কথাই জানালেন পুষ্পিতা। ব্যান্ডেল নিউ কাজিডাঙ্গার বাড়িতে বসে পুষ্পিতার বক্তব্য ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ১৫০০ কিমি দূরে ওঝওর্ড শহরে যুদ্ধের বিন্দুমাত্র লেশ ছিলো না। পাশাপাশি আতঙ্ক কাটাতে টিভি চ্যানেলে নজরও দেয়নি সে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরতে হয়েছে পুষ্পিতাকে। তবে ভারতে বসে টিভি চ্যানেলে নজর দিতেই ইউক্রেনের পরিস্থিতির কিছুটা মালুম হয়েছে এই পড়ুয়ার। পুষ্পিতা বলেন এখন ভাবছি বাড়িতে এসে প্রানে বাঁচলাম। তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে ইউক্রেন পরিস্থিতি মিটলে আবারও সে দেশে পড়াশুনার জন্য ফিরে যেতে চায় পুষ্পিতা। পুষ্পিতার বাবা ও মায়ের বক্তব্য ভারতে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ডাক্তারি পড়তে গেলে প্রচুর প্রতিযোগীতায় আনেকে হারিয়ে যায় পাশাপাশি আমাদের দেশে বেসরকারি মাধ্যমে ডাক্তারি পড়তে প্রচুর খরচ। তাই আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে স্বপ্নপূরণে ইউক্রেনের মত দেশে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। তবে মেয়ে বাড়ি ফিরেছে এটাই এখন স্বস্তির।