এই মুহূর্তে জেলা

বন্যা বিধ্বস্ত আরামবাগে সর্বস্ব হারিয়ে অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছেন মানুষ।


হুগলি, ৩ মার্চ:- হুগলির আরামবাগ মহকুমায় ২০২১ সালের ভয়ঙ্কর বন্যায় ঘর বাড়ি থেকে শুরু করে কয়েক হাজার বিঘা জমির ফসলসহ সর্বস্ব হারিয়ে অসহায় ভাবে দিন কাটাছেন কয়েক হাজার মানুষ। জল কমতেই দ্বারকেশ্বর, মুন্ডেশ্বরি, দামোদর নদীর যে সব জায়গায় হানা পড়ছে সেই সব জায়গা গুলো দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু করলো সেচ দপ্তর। ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ তৈরি ও বাঁধের গর্ত মেরামত থেকে শুরু করে যে সব জায়গা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা আছে তা মেরামত জন্য চাঁপাডাঙ্গা ও আরামবাগ মিলিয়ে প্রায় ৭৭ কোটি টাকার বাজেট ধরা হয়েছে। প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ মহকুমার মধ্যে বন্দীপুর, রঘুনাথপুর, পশ্চিম ঠাকুরানি ও আরামবাগ ব্লকের উপর দিয়ে প্রভাবিত দ্বারকেশ্বর নদীবাঁধে বড়ো হানা পড়েছিলো। এই হানাগুলি দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে এবং দ্রুত গতিতে কাজ হচ্ছে। পাশাপাশি আরামবাগের দ্বারকেশ্বর নদীবাঁধ সংস্কার ও চওড়া করার কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর। সুত্র থেকে জানা গেছে হানা গুলি নতুন ভাবে মেরামত করতে প্রায় ৭৩ থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা করে খরচ হবে।বাকী জেলেপাড়া, মাইতিপাড়া এলাকার বাঁধ সংস্কারে প্রক্রিয়া চলছে।দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধের ওপর ৭৫ টি জায়গায় গর্ত অথবা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা ছিলো।এই গুলি সারাই করার পাশাপাশি মজবুত ও চওড়া করার কাজ চলছে।

কিন্তু এলাকার মানুষের দাবী, বাঁধ নির্মানে জন্য স্থায়ী ভাবে কাজ করুক প্রশাসন। অতি বর্ষনের ফলে নদীর বাঁধ ভেঙে প্রায় প্রতিবছরই প্লাবিত হচ্ছে আরামবাগ মহকুমার বিস্তৃতন এলাকা। ঘরবাড়ি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়ছে কয়েক হাজার মানুষ। তাই প্রশাসনের উচিত ভেঙে যাওয়া বাঁধ মজবুত করে বাঁধা হোক। নদীর বার বার বাঁধ ভাঙ্গার ফলে ওই সব জায়গার মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে, কয়েক কোটি টাক খরচ করে বাঁধ তৈরি হচ্ছে অথচ বর্ষা এলেই বাঁধ ভাঙ্গছে কিভাবে। তাহলে কি গোড়ায় কোনও গলধ আছে। প্রশানের নজরদারীর অভাবে তাহলে কি দুর্নীতি হচ্ছে আর তার শিকার হচ্ছে নদী বাঁধ এলাকার মানুষ। প্রশ্ন তুলছে স্থানীয় মানুষ। তবে প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটাল মাস্টার প্লান ও আরামবাগ মাস্টার প্লান রুপায়িত হলে আরামবাগ মহকুমায় বন্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যাবে। এই বিষয়ে আরামবাগ মহকুমা সেচ দপ্তরের আধিকারিক দিনবন্ধু ঘোষ জানান, যে সব জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে হানা পড়েছিলো সেই সব জায়গাগুলি নতুন করে মেরামত করা হচ্ছে। মজবুত বাঁধ ও চওড়া করার কাজ চলছে যাতে বন্যা প্রতিরোধ করা যায়।সবমিলিয়ে আরামবাগ মহকুমার প্লাবিত এলাকার মানুষের স্বার্থে মজবুত করে বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু করলো প্রশাসন।