এই মুহূর্তে জেলা

দল মানে মা ,দলের মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , বিশ্বাসঘাতকতা মানে মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা -অভিষেক।

ডায়মন্ডহারবার , ২৯ নভেম্বর:- ২০২১-কে সামনে রেখে ময়দানে নেমে পরল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ, রবিবার, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম নামলেন ময়দানে৷ খোলাখুলি বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তিনি। রবিবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রে সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার দেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দুপুর ২টোর সময় মুচিশা হাইস্কুল মাঠে শুরু জনসভায় তিনি বলেন, বাংলায় তৃণমূলকে আটকানো বিজেপির কাজ নয়৷ এবং একের পর এক বিজেপি নেতাদের নাম তুলে ধরে তিনি বলেন দিলীপ ঘোষ গুন্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছেলে গুন্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সুনীল দেওধর সবাই বহিরাগত। সকলেই তৃণমূলের ভাইপোকে নিয়ে কথা বলছে, তবে কারও সাহস নেই সরাসরি নাম করার৷ তিনি বললেন, ‘নাম নেওয়ার মতো বুকের পাটা প্রধানমন্ত্রীরও নেই, তাই ভাইপো বলেই বারবার আক্রমণ করেন।’ অভিষেকের মতে বিজেপি নেতাদের বুকের পাটা নেই৷

এদিন নাম না করেই শুভেন্দু অধিকারীকে অভিষেক বিঁধলেন তীব্র আক্রমণে। বজবজের সভায় নাম না করেই পদত্যাগী মন্ত্রীকে আক্রমণ করেন ‘ভাইপো’। শুভেন্দুর ‘লিফটেও উঠিনি, প্যারাশুটেও নামিনি’-কথার উত্তরে এদিন অভিষেকের পালটা প্রশ্ন –‘আপনারা যাঁরা এখানে আছেন, ক’জন লিফটে উঠেছেন, ক’জন প্যারাশুটে নেমেছেন বলুন তো ? তৃণমূল কংগ্রেস মাটির দল, এখানে কেউ লিফটে উপরে উঠলে, তার পতন অবশ্যম্ভাবী। আর লিফটে ওঠানামা করলে আমিও ৩৫ টি পদের ‘অধিকারী’ হতে পারতাম।” এরপর তিনি আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে বলেন, ‘দল মানে মা। এই দলের মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা মানে মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। তা কি আপনারা কেউ বরদাস্ত করবেন ? করবেন না কখনওই।’