এই মুহূর্তে জেলা

রীতি মেনেই কল্পতরু দিবস পালন কামারপুকুর মঠে।

হুগলি, ১ জানুয়ারি:- রীতি মেনেই কল্পতরু দিবস পালন হুগলির কামারপুকুর মঠ ও মিশনে। ১ লা জানুয়ারি কল্পতরু উৎসবে বিশেষ পুজোপাঠ কামারপুকুর মঠ ও মিশনে। প্রতিবছর ১লা জানুয়ারি সকাল থেকেই  ভিড় থাকে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের স্মৃতিবিজড়িত হুগলি জেলার অন্যতন তীর্থক্ষেত্র  কামারপুকুর মঠ ও মিশনে।এই বছরও কোভিড প্রোটোকল মেনে মঠে পুর্নার্থীদের দেখা যায়। তবে কামারপুকুরের গেস্ট হাউসগুলিতেও কোনও পযটক নেই। মঠের ভিতর স্বাস্থ্য বিধি মেনে পুর্নার্থীরা প্রবেশ করেন এবং ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের পুজোপাঠ দেখেন এবং লাড্ডু প্রসাদ নিয়ে মঠ থেকে বের হন। ১লা জানুয়ারী কামারপুকুর মঠ ও  মিশনে কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমান।এই বিষয়ে মঠে আসা এক পুর্নার্থী লাবনি ঘোষ জানান, সকালেই কামারপুকুর মঠ ও মিশনে এসেছি।ঠাকুরের কাছে একটা প্রার্থনা পৃথিবী যেন করোনা মুক্ত হয়।অন্যদিকে সঞ্জীব শর্মা নামে আর এক পযর্টক বলেন,মঠে এসে খুব ভালো লাগছে।বছরের প্রথম দিন মঠে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের পুজোপাঠ দেখতে পেরে নিজে ভাগ্যবান মনে করছি। মঠ সুত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা ও বিকেল সারে ৩টে থেকে  ৫টা পর্যন্ত মঠের দরজা খোলা থাকবে ভক্তদের জন্য।

এই সময় থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পর ১০ জন করে ভক্ত মঠে প্রবেশ করে। তবে তাদের কোনওভাবেই বসে কিংবা ষষ্টাঙ্গে প্রণাম করতে দেওয়া হয়নি।দাঁড়িয়ে প্রনাম করতে হয়েছে। কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী লোকোত্তরানন্দজি মহারাজ বলেন, ১ লা জানুয়ারি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেব কল্পতরু হয়েছিলেন। তাই আমরা কল্পতরু দিবস পালন করি। ১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারি কাশীপুর উদ্যানবাটিতে রামকৃষ্ণদেব কল্পতরু হয়েছিলেন।
সেই সময় ঠাকুর অসুস্থ ছিলেন। নিজের বাসগৃহ থেকে বেরিয়ে তিনি তাঁর ভক্তদের সঙ্গে দেখা করেন। এই সময় ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ নাট্যকার গিরিশ ঘোষকে প্রশ্ন করেছিলেন, ” তোমার কি মনে হয়, আমি কে? সবার কাছে বলে বেড়াও।

কি তুমি বুঝেছো বা কি জেনেছো।ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের চরনতলে বসে হাত জোর করে বলেছিলেন, ব্যস, বাল্মিকী যার ইয়াত্তা করতে পারেনি, আমি তার সম্বন্ধে কি বলবো। এই সমাধি অবস্থা ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেব তাদের বলেছিলেন ‘তোমাদের চৈতন্য হোক’। সেই মুহূর্তটিই কল্পতরু নামে পরিচিত। তিনি সবাইকে অভয় প্রদান করে ছিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের একজন সন্ন্যাসী স্বামী সারদানন্দ মহারাজ, এই দিনটিকে কল্পতরু না বলে তিনি আত্মপ্রকাশে অভয় প্রদান বলে আখ্যায়িত করেন।এই দিনটিতে শ্রীরামকৃষ্ণ দেব নিজেকে প্রকাশ করে দিয়েছিলেন, তিনি ভগবান বলে। আমাদেরকে অভয় প্রদান করে ছিলেন। তাই আমাদের কামারপুকুর মঠ ও মিশনে বিশেষ পুজোপাঠ হচ্ছে। তবে সবই সংক্ষিপ্ত আকারে হচ্ছে। সবমিলিয়ে এদিন কামারপুকুর মঠ ও মিশনে রীতি মেনে কল্পতরু উৎসব পালন হয়।