এই মুহূর্তে কলকাতা

রাজ্যের আইন শৃঙ্খলাকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রাজ্য সরকার।

কলকাতা, ১১ নভেম্বর:- রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্যে পুরনো থানার এলাকা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে নতুন নতুন পুলিশ কমিশনারেট এবং বহু থানা। এইসব থানা পরিচালনার জন্য পুলিশের বিভিন্ন স্তরে বিপুল কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। এই পর্যায়ে সবমিলিয়ে প্রায় এক হাজার পুলিশ কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থায় রাজ্যকে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে দেখতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বিভিন্ন থানা এলাকার পুনর্বিন্যাস করে নতুন থানা তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। বিভিন্ন পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে একাধিক নতুন থানা তৈরি করা হচ্ছে।ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে নতুন ৮টি থানা তৈরি হচ্ছে। সেগুলি হল হালিশহর, নাগেরবাজার, দক্ষিণেশ্বর, কামারহাটি, জেটিয়া, শিবদাসপুর, বাসুদেবপুর, মোহনপুর। এছাড়াও বাড়ুইপাড়া, আটচালা বাগনান এবং গোলঘরে তিনটি ফাঁড়ি তৈরি করা হচ্ছে।বেলঘরিয়া থানার দায়িত্ব ভেঙে তৈরি হবে দক্ষিণেশ্বর এবং কামারহাটি। এছাড়াও হালিশহর, নাগেরবাজার, জেটিয়া, শিবদাসপুর, বাসুদেবপুর, মোহনপুর থানা তৈরি হবে। পশ্চিমবঙ্গ স্পেশাল টাস্কফোর্সের অধীনে বিশেষ থানা তৈরির কথা ভাবছে সরকার। আর তা হলে দুটি থানা তৈরি হবে। তার জন্য অনেক কর্মীর প্রয়োজন রয়েছে।

সেই কথা মাথায় রেখেই কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাড়ানো হচ্ছে কলকাতা পুলিশের কাজের পরিধিও। গত কয়েকদিন আগেই কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে ব্যাপক নিয়োগ করা হয়েছে। আর এর মধ্যেই নতুন করে ফের একবার পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন পদমর্যাদায় ৯৯৮ জন পুলিশ আধিকারিক-কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। থানা এবং ফাঁড়িতে বিভিন্ন পদমর্যাদার ৭৭৯টি পদ সৃষ্টি হতে চলেছে। সংশ্লিষ্ট থানা এবং ফাঁড়িগুলোতে ১১টি কর্মবন্ধু (আংশিক সময়) নিয়োগ হতে চলেছে। এতদিন পর্যন্ত বীরভূমের নানুর থানার অধীনে ছিল কীর্ণাহার পুলিশ ফাঁড়ি। এবার সেটি পূর্ণ থানার মর্যাদা পেতে চলেছে। এর ফলে লাভপুর থানার অধীনে থাকা কিছু এলাকা কীর্ণাহার থানার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। তার জন্য বাড়ছে কর্মসংস্থানের সংখ্যাও। ওই জায়গায় বিভিন্ন পদমর্যাদার ২১৯ জনকে নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি এখানে দু’জন কর্মবন্ধু নিয়োগ করা হবে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রায় ৯৯৮ জন পুলিশ আধিকারিক-কর্মী নিয়োগ করা হবে।তবে কবে থেকে নিয়োগ শুরু হবে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি রাজ্য সরকারের তরফে। যদিও শীঘ্রই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলে সূত্রের খবর। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।