হাওড়া, ১০ নভেম্বর:- পুরভোটের প্রাক্কালে কলকাতা ও হাওড়া জেলাকে নিয়ে মঙ্গলবারই নির্বাচন কমিটি গঠন করেছে বিজেপি৷ বিধানসভা ভোটে হাওড়া জেলায় বিজেপির বিপর্যয়ের দায় প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেন, আপনারা জিতবেন হাওড়া পুরসভা ? এক নেতা আরেক নেতার নামে কুৎসা করছেন। আমি হাওড়া জেলার এক নেতাকে জানি যাঁর অরূপ রায়ের সঙ্গে দহরম মহরম। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দুবাবুর ওই মন্তব্যে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরে। শুভেন্দুকে সরাসরি আক্রমণ করে সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন হাওড়া সদরে দলের সভাপতি সুরজিৎ সাহা। প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দুবাবু সৎ কিনা আগে সার্টিফিকেট দিন। এবিষয়ে হাওড়া জেলা সদর বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা জানান, বিজেপি কর্মীরা ওনার কাছ থেকে সার্টিফিকেট নেবেন না কে কত বড় বিজেপি। তাঁকেই প্রমাণ করতে হবে তিনি কত বড় সৎ।
নারদা কান্ডে তাঁকে (শুভেন্দু) টাকা হাতে নিতে দেখা গিয়েছে। বিজেপির কোনও কর্মীকে টাকা নিতে দেখা যায়নি। বিজেপির কোনও কমিটি করা হয়নি। এটা যেটা করা হয়েছে শুভেন্দুবাবু নিজে টিম তৈরি করেছেন। যিনি (রথীন চক্রবর্তী) তৃণমূল কংগ্রেস থেকে এখানে যোগদান করেছেন, যিনি নির্বাচনে নিজের বুথেও জিততে পারেনা, নিজে জিততে পারেননি। বুথের সামনে তাঁর নামে লাগানো গদ্দারের ছবি জেলা সভাপতিকে সরাতে হয়েছে নিজের ক্ষমতা নেই, সেই রথীন চক্রবর্তীকে চেয়ারপার্সন করা হয়েছে এর বিরোধিতা করছি। হাওড়ার বিজেপি কার্যকর্তারা তৃণমূল কংগ্রেসের ‘বি’ টিমের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না। যদি কাজ করতে হয় তাহলে বিজেপি পুরনো কার্যকর্তারা রয়েছেন তাদের চেয়ারম্যান করা হোক। তাদের নেতৃত্বে কাজ করবেন। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে হারা যাদের চোর বদনাম আছে, পুরনিগম লুট করেছেন তাদের নেতৃত্বে বিজেপির কোন কার্যকর্তাই কাজ করবেন না। তিনিও কাজ করবেন না।