এই মুহূর্তে জেলা

নতুন নির্দেশিকা জারি না হলে , নাইট কার্ফুই বলবৎ থাকছে চন্দননগর জগদ্ধাত্রীতে।


হুগলি, ৮ নভেম্বর:- চন্দননগর রবীন্দ্র ভবনে সোমবার সন্ধায় সাংবাদিক বৈঠক করেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অর্নব ঘোষ।তিনি বলেন, এবার চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে ৩০০ পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে অনলাইনে। অফিসার কনস্টেবল এস পি এডিশনাল এসপি, ডিএসপি, সাব ইন্সপেক্টর পদ মর্যাদার অফিসার এবং কনস্টেবল ও ৬০০ জন অস্থায়ী হোমগার্ড সহ প্রায় দের হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে জগদ্ধাত্রী পুজোয়। নজরদারী চালাবে ৫০ টি জায়গায় সিসি ক্যামেরা। ওয়াচ টিম থাকবে। গোপান জায়গা থেকে ভিডিওগ্রাফি হবে।এমন কোনো ছাদ যেখানে কারো নজর না যায় সেই জায়গায় ক্যামেরা থাকবে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে বাইনোকুলারে নজরদারী চলবে। চন্দননগর ঢোকার রাস্তায় নো এন্ট্রি থাকবে ৯-১৫ তারিখ দুপুর দুটো থেকে পরদিন সকাল ৬ টা পর্যন্ত। সিপি বলেন, এবারই প্রথম বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে মেডিকেল প্রয়োজনে। অনেক সময় পুজোর দিন গুলোতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পরে। রাস্তায় প্রচুর ভীর থাকায় এ্যাম্বুলেন্স ঠিক মত যেতে পারেনা। তাই চন্দননগর রানী ঘাটে লঞ্চ থাকবে।

দ্রুত অসুস্থকে লঞ্চে করে চুঁচুড়া ফেরিঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে এ্যাম্বুলেন্স থাকবে, এ্যাম্বুলেন্সে করে ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। সাদা পোষাকে স্পেশাল পুলিশ থাকবে যারা সিপিকে রিপোর্ট করবে। কোভিড বিধি নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ পুজো কমিটি গুলোকে সার্কুলেট করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার। রাত্রীকালীন কার্ফু নিয়ে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে সিপি বলেন, সরকারী যা নির্দেশ আসবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কয়েক দিন আগে প্রশাসনিক বৈঠকে সিপি বলেছিলেন জগদ্ধাত্রী পুজোয় রাত্রীকালীন কার্ফু বলবৎ থাকবে।তা নিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়।মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেছিলেন কয়েকদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে কার্ফু থাকবে কিনা। এদিন নিরাপত্তা নিয়ে বললেও রাত্রীকালীন কার্ফু থাকবে কিনা তা নিয়ে সিপি কোনো স্পস্ট উত্তর দেননি। চন্দননগরে রাতে যে পরিমান মানুষের ঢল নামে তা রাত এগারোটায় থামিয়ে দেওয়া কোনো মতেই সম্ভব না। হাইকোর্টের নির্দেশে পুজো প্যান্ডেলে না ঢুকলেও রাস্তায় লোক থাকবে তাদের কি করে কার্ফু মানতে বলা হবে তা নিয়ে ভাবনায় প্রশাসনও। তবে পুজো উদ্যোক্তা ও প্রশাসনের কর্তারা মনে করছেন ছট পুজোতে যেমন কার্ফু শিথিল করেছে সরকার জগদ্ধাত্রী পুজোতেও তাই হবে।