হাওড়া , ৩০ অক্টোবর:- স্বামীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে হাওড়ার সাঁকরাইল থানা এলাকায়। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। জানা গেছে, কালীপদ রায়ের সঙ্গে মুনমুন রায়ের দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। এদের তেরো বছর বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে। স্ত্রী মুনমুন রায় ও তার পরিবারের উপর। অশান্তির কারণে মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী মুনমুন। কালীপদবাবু পেশায় অঙ্কন শিল্পী ছিলেন। দুর্গাপূজার পরের দিন একাদশীতে মেয়েকে দেখতে তিনি বের হন। তারপর আর বাড়ি ফেরা হয়নি কালীপদ রায়ের। পরিবারের অভিযোগ স্ত্রী মুনমুন রায় ও তার বাপের বাড়ির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কালীপদবাবুর গায়ে আগুন জ্বালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ওই ঘটনার দিন কালীপদবাবুর পরিবার চিকিৎসার জন্য তাঁকে সাঁকরাইল ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার চলার পর অবস্থার অবনতি হওযায় কলকাতা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। শুক্রবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবার স্ত্রী মুনমুন রায়ের বিরুদ্ধে সাঁকরাইল পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর স্ত্রী মুনমুন রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১৬ অক্টোবর শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন স্বামী কালীপদ। এদের পরিবারে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। ৪৯৮এ ধারায় স্বামীর বিরুদ্ধেও এর আগে মামলা করেছিলেন স্ত্রী মুনমুন। অভিযোগ, ঘটনার দিন কালীপদবাবুর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। শ্বশুর, শাশুড়ী ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। শনিবার সকালে স্ত্রী মুনমুনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।