এই মুহূর্তে জেলা

বন্যায় নিশ্চিহ্ন বাঁশের সেতু , চরম সমস্যায় খানাকুলের মানুষ।

হুগলি, ২৫ অক্টোবর:- সর্বগ্রাসী বন্যা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে সবকিছু। ঘর বাড়ি থেকে জমির ফসল সবই ধ্বংস করেছে বন্যার জল। যোগাযোগের মাধ্যম বাঁশের সেতু তাও ভেঙ্গে গেছে। জলের স্রোতে বাঁশের সেতুর আর কোনও চিহ্ন পযন্ত নেই। আর তার জেড়েই সমস্যায় পড়েছে আট দশটি গ্রামের মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা করে পারাপার করতে হচ্ছে তাদের। এই ঘটনাটি ঘটে চলেছে হুগলি জেলার খানাকুলের নতিবপুর ফেরিঘাটে। মুন্ডেশ্বরি নদীর ওপর এলাকার মানুষের সুবিধার্থে বাঁশের সেতু তৈরি করেছিলো প্রশাসন। সেই বাঁশের সেতু দিয়ে বাইক থেকে মারুতি গাড়ি নিয়ে মানুষ চলাচল করতো। পায়ে হেঁটে ও সাইকেলে করেও চলতো যাতায়াত। কিন্তু ২০২১ সালের ভয়াবহ বন্যায় সেতুটি ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায়।যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়ে। নদী পাড়ের উভয় দিকের আট থেকে দশটি গ্রামের মানুষ সমস্যায় পড়েন। বর্তমানে লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই নৌকা করে চলছে পারাপার। লাইন দিয়ে বাইক আরোহিদের দেড় থেকে দুই ঘন্টা ধরে ফেরিঘাটে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এমনটাই দাবী স্থানীয়দের।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, রোদের দাঁড়িয়ে থেকে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সারি সারি দিয়ে নদী পার হবার জন্য বাইকগুলি দাঁড়িয়ে রয়েছে।

ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে নদীর ফেরিঘাটে দাঁড়িয়ে থেকেও নদী পার হতে পারছেন না। তাদের একমাত্র দাবী অবিলম্বে এই নতিবপুর ফেরিঘাটে বাঁশের কিংবা কাঠের সেতু করা হোক। তা না হলে এলাকার মানুষের এই দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি নেই। অথচ স্থানীয় প্রশাসন থেকে ব্লক প্রশাসনের কোনও হুশ নেই বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি সেখ মেহেবুব রহমান জানান, বৃষ্টিটা কমেছে। এদিন থেকে অফিস খুলেছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় আসতে আসতে সবই সংস্কার করা হবে। তবে হাজার হাজার মানুষ সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন অথচ প্রশাসনের হেলদোল নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এই মুন্ডেশ্বরি নদীর একপাড়ে নতিবপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পঞ্চায়েত অফিস, বেশ কয়েকটি প্রাইমারি স্কুল, বাজার,আর অন্যপাড়ে গনেশপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে খানাকুলের প্রশাসনিক ভবন যাওয়ার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম। এই রখম একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁশের সেতু ভেঙে যাওয়ার পরও কেন দ্রুত তৈরি হচ্ছে না সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বন্যার জল নেমে যাওয়ার পরেও দ্রুত সেতু তৈরি না হওয়ায় রীতিমতো হতাশ গ্রামের মানুষ। সবমিলিয়ে এলাকার মানুষের দাবী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খানাকুলের নতিবপুর ফেরিঘাটে বাঁশ অথবা কাঠের সেতু তৈরি করা হোক। এখন দেখার প্রশাসন কত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে।