হুগলি, ১৩ সেপ্টেম্বর:- আমাদের রাজ্যের জুটমিল গুলিতে ৩০ শতাংশ শ্রমিকের অভাব আছে, যার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি পরিকল্পনা করেছেন যাতে এই সমস্ত জুটমিলগুলি দক্ষ শ্রমিক দিয়ে পূরণ করা যায়। তার জন্য বেকার যুবকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের এই সমস্ত কারখানা গুলোতে নিয়োগ করা যায়, এর ফলে যেমন একদিকে জুট শিল্প বাঁচবে অন্যদিকে বেকাররা কর্মসংস্থান সুযোগ পাবেন। আজ শক্তিগড় ইন্ডাস্ট্রির রিষড়ায় হেস্টিং জুট মিলে আয়োজিত প্রশিক্ষণ শিবিরে এসে বলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না। তিনি জানান একটা সময় বিহার, উড়িষ্যা, তামিলনাড়ু, অন্ধপ্রদেশ থেকে শ্রমিকরা এসে বাংলার এই জুটমিল গুলিতে কাজ করতেন। কিন্তু ক্রমশ তারা অবসর নেবার পর সেইভাবে এই মিলগুলিতে আর বাইরে থেকে লোক আসছে না।
এর জন্যই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জুটমিল গুলিকে আধুনিকের সঙ্গে সঙ্গে যাতে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে যুবকরা চাকরি পেতে পারে সেই চেষ্টায় চালাচ্ছে। এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি জানান যে দূরদূরান্তের শ্রমিকরা যাতে কারখানায় এসে কাজ করার পর এখানেই থাকতে পারেন তার জন্য শ্রমিক আবাসন গুলিকে নতুনভাবে গড়ে তোলা হবে, এবং তাদের বেতন কাঠামো সেটা যাতে বাড়ানো যায় সেই বিষয়টি নিয়ে আগামী সপ্তাহে সরকারপক্ষ মালিকপক্ষ এবং জুটমিল সংগঠন গুলির সঙ্গে একটি বৈঠক হবে। মন্ত্রীর আশা যেভাবে আমাদের সরকার জুটমিল গুলি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন তাতে অচিরেই এইসব কারখানাগুলি আবার সেই পুরোনো দিনের গরিমা ফিরে পাবে। অন্যদিকে শ্রীরামপুরের বিধায়ক ডাক্তার সুদীপ্ত রায় বলেন ২০০৯ সালে তিনি যখন শ্রীরামপুরের বিধায়ক হন সেই সময় এখানকার অধিকাংশ জুটমিল গুলি বন্ধ ছিল,
কিন্তু ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার আসার পর পাট কলগুলির বিষয়ে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে এবং একের পর এক বন্ধ জুটমিল খুলেছে এবং বর্তমানে যে আধুনিকীকরণের এবং দক্ষ শ্রমিকের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে তা প্রশংসাযোগ্য। আজকের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এই মিলের কর্ণধার সঞ্জয় কাজারিয়া, রাজ্য আই,এন,টি,টি,ইউ,সির সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরামপুরের বিধায়ক ডা: সুদীপ্ত রায়, রিষড়া ও শ্রীরামপুর পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক বিজয় সাগর মিশ্র ও গৌর মোহন দে সহ বিশিষ্টরা। অনুষ্ঠান শেষে সকলকে ধন্যবাদ জানান শক্তিগড় জুট ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধর সঞ্জয় কাজরিয়া।