এই মুহূর্তে জেলা

দেনার টাকা শোধ করতে না পেরে হতাশায় হাতের শিরা কেটে ছেলে ও মা আত্মঘাতী হাওড়ায়।


হাওড়া, ৯ সেপ্টেম্বর:- বাজারে অনেক ধারদেনা হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে মাঝেমধ্যে পারিবারিক অশান্তি হতো টাকাপয়সা নিয়ে। তার জেরেই দেনার টাকা শোধ করতে না পেরে ছেলে ও মা আত্মঘাতী হলেন হাওড়ায়। পুলিশের অনুমান, চরম হতাশা থেকেই মধ্য হাওড়ার ভৈরব বার লেনে ছেলে ও মা আত্মহননের পথ বেছে নেন। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বন্ধ ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এদের উদ্ধার করা হয়। হাওড়া থানা এলাকার ভৈরব বার লেনের একটি বাড়ি থেকে শিরা কাটা অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁদের দেহ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকেই হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মা কৃষ্ণা হাইতকে(৬০) মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছেলে অভিষেকেরও (৩৮) হাওড়া জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হয়। হাওড়ার দেশপ্রাণ শাসমল রোড সংলগ্ন ভৈরব পার লেনের দোতলা নিজস্ব পৈত্রিক বাড়ির দোতলায় থাকতেন মৃত কৃষ্ণা হাইত এবং তাঁর ছেলে অভিষেক। বাড়িতে কৃষ্ণাদেবীর স্বামীর পাঁচ ভাইয়ের পরিবার বসবাস করেন। অভিষেকের মোটর পাম্পের ব্যবসা ছিল।

তাঁর ব্যবসাটি ঠিকমতো চলছিল না। সেই কারণে অনেক ধারদেনা হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে পারিবারিক অশান্তি চলছিল। পাশাপাশি তাঁরা মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন। এদিন দুপুরে অভিষেক এবং তার মা কৃষ্ণা দেবীর সাড়া না পেয়ে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সন্দেহ হাওয়াতেই তাঁরা হাওড়া থানায় বিষয়টি জানান। হাওড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে দেখে মা ও ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। দুজনেরই বাম হাতের শিরা কাটা ছিল। সঙ্গে সঙ্গে এদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এদের বাজারে অনেক ধারদেনা হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে মাঝেমধ্যে পারিবারিক অশান্তি হতো টাকাপয়সা নিয়ে। তার জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে। হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাজারে প্রচুর ধারদেনা হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে তারা দুজন ধারালো কিছু দিয়ে তাদের শিরা কেটে আত্মহত্যা করেন।