এই মুহূর্তে কলকাতা

পুজোয় ক্লাবগুলিকে ৫০ হাজার টাকা , কার্নিভাল নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত , একগুচ্ছ ঘোষণা মমতার।

কলকাতা, ৭ সেপ্টেম্বর:- গত বছরের পর এ বছর। করোনা অতিমারীর ধাক্কায় বেহাল পুজো কমিটি গুলির পাশে দাঁড়ালো রাজ্য সরকার। দুর্গোৎসবে প্রতিটি পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বীবেদি বলেন কোভিডের কারণে অনেক পুজো কমিটি স্পনসর না পাওয়ায় গত বছরের মতো এইবারেও একই হারে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার কলকাতা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শহরের বিভিন্ন পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে ভবানীপুর আসনে উপ-নির্বাচনে তিনি নিজে প্রার্থী হওয়ায় পুজো কমিটি গুলিকে অর্থসাহায্য বা কর ছাড় সংক্রান্ত ঘোষণা তিনি নিজে মুখে করেননি। মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদি রাজ্য সরকারের তরফে ক্লাবগুলোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ঘোষণা করেন। তিনি বলেন,” রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটা ভালো। কিন্তু এ বছরও করোনা বিধি মেনেই পুজো আয়োজন করতে হবে। এ বছরও অনেক পুজো কমিটি স্পন্সর পায়নি। তাই গত বছর যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল তা এ বছরও বজায় থাকবে।

প্রত্যেক পুজো কমিটিকে সরকারের তরফে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। দমকল, বিদ্যুৎ সংযোগের লাইসেন্স ফি লাগবে না। পুজো কমিটির বিদ্যুতের বিল ৫০ শতাংশ মুকুব করা হলো।” মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ পুজো কমিটিগুলোকে ছোট করে সুন্দর করে পুজো করতে হবে। সকলকে মাস্ক ব্যবহার করতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কার্নিভাল হবে কি হবে না তা নিয়ে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেন তিনি। এ দিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ, ক্লাবগুলোকে কোভিড সচেতনতা প্রচার করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, তৃতীয় ঢেউ যদি না আসে তবে এ বছর পূজার বিসর্জন হবে ১৫, ১৬, ১৭ অক্টোবর অর্থাৎ একাদশী, দ্বাদশী ও ত্রয়োদশীর দিন। গত বছর দুর্গাপুজোর কার্নিভাল বন্ধ ছিল। এ বছর তা ফের চালু হবে কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন করলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি বিচার করে ভোটের পর এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “দুর্গাপূজাকে বিশ্বের এক নম্বর ফেস্টিভাল বলে মনে করি। কুইন্স ইউনিভার্সিটি এবং আইআইটি খড়গপুর সার্ভে করেছিল গড়ে ৩২ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা খরচ হয় দুর্গাপূজায়।” জেলার পুজোগুলিরও তুমুল প্রশংসা শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। পুজোয় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশকে বাড়তি তৎপরতা নেওয়ার কথা বলেন।