এই মুহূর্তে কলকাতা

মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ক্যারিয়ার গাইডেন্স পোর্টাল তৈরির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।

কলকাতা, ২ সেপ্টেম্বর:- রাজ্য সরকার পড়াশুনার মান উন্নয়নে আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম এর সিলেবাস নিয়ে শিক্ষা সংক্রান্ত একটি পোর্টাল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে চলতি বছরে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসা, হাই মাদ্রাসা, সিবিএসই আইসিএসসিতে উত্তীর্ণ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মিলিত হয়ে বলেন ক্যারিয়ার গাইডেন্স নামে এই পোর্টাল এর মাধ্যমে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা ঘরে বসেই বিনামূল্যে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ের সিলেবাসে কি পড়ানো হচ্ছে তা জানতে পারবেন। শিক্ষা দপ্তর এটি তৈরি করছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ও বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সিলেবাস তৈরি করবে বলেও তিনি জানান।

সাধারণ শ্রেণীভুক্ত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ প্রকল্পে চলতি বছর থেকে ৭৫ শতাংশর পরিবর্তে ৬০ শতাংশ নম্বর পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীরাও আবেদন করতে পারবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী এই দিন জানান। চলতি বছরে নবম শ্রেণীর তিন লক্ষ ছাত্র ছাত্রীর হাতে সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল তুলে দেওয়া ছাড়াও দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত দশ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে ট্যাব কেনার জন্য এককালীন দশ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন ছাত্র-ছাত্রীদের চলতি দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে সাধারন মানুষকে সহায়তা করার পরামর্শ দেন। বিভিন্ন জেলা সদর ছাড়াও মহকুমা সদরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের তরফে আজ এক হাজার সাতশো জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর হাতে পুরস্কার হিসাবে পুষ্পস্তবক, ল্যাপটপ, বই এবং শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। বিশ্বভারতীতে সম্প্রতি যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এইদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কলকাতা সহ সমস্ত জেলার কৃতী পড়ুয়ারা এদিন ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিল এই অনুষ্ঠানে।

এদিন বিভিন্ন পরীক্ষায় অসাধারণ রেজাল্ট করা মোট ১৭০০ পরিক্ষার্থীকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। তাদের ল্যাপটপের পাশাপাশি বিভিন্ন বই উপহার দেওয়া হয়। যে তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর লেখা কয়েকটি বইও রয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোনও পরিস্থিতিতে মাথা নত করবে না। অন্যায় দেখলেই রুখে দাঁড়াও, প্রতিবাদী হও। তোমরা দেশের ভবিষ্য়ৎ। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সকল পরীক্ষার্থীদের অভিনন্দন ও আশির্বাদ জানিয়ে বলেন, সকলের জন্যই রাজ্য সরকার কাজ করছে। যাতে কেউ পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করেছে রাজ্য সরকার। এর সুযোগ নিয়ে সকলকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ নেওয়ার আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। চলতি বছর করোনা অতিমারীর জেরে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সহ অন্য়ান্য় পরীক্ষা হয়নি। ফলে পাশের হার কার্যত ১০০ শতাংশ। তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, মাধ্য়মিকে ১০০ শতাংশ পাশ করলেও উচ্চমাধ্যমিকে দুই-একটা সমস্য়া হয়েছিল। পরে সেগুলি শুধরে নেওয়া হয়েছে।