এই মুহূর্তে জেলা

হুগলি জেলা জুড়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হলো বিশ্ব কবির প্রয়ান দিবস।

মহেশ্বর চক্রবর্তী , ৮ জুলাই:- রবিবার, ২২শে শ্রাবণ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে (ইংরাজীর ১৯৪১ সাল) এই দিনটিতেই কলকাতার জোড়াসাঁকোর পৈত্রিক বাসভবনে নিভে যায় ররির কিরন। ইহোলোক ত্যাগ করে পরোলোকে গমন করেন।তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় সরকারি ও বেসরকারি ভাবে আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।সেই মতো হুগলি জেলা জুড়ে শ্রদ্ধার সাথে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়ান দিবস পালিত হয়।এদিন সকাল থেকেই প্রকৃতির মুখভার ছিলো।সারা বাংলা জুড়ে বিষাদের সুর বাজলেও তিনি আপামোর বাঙালীর মননে রয়েছেন। এদিন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০ তম প্রয়াণ দিবসে এভাবেই মনে করলো প্রকৃতি। আকাশ-বাতাস-অন্তরীক্ষও যেন নিঃশব্দে বলে উঠল মৃত্যুই শেষ নয়, রবি ঠাকুরের মৃত্যু সত্য হলেও তিনি বেঁচে আছেন তার কর্মী।তার লেখনি যেন কোনও দিন পুরানো হয় না।এখনও বর্তমান প্রজন্ম থেকে প্রবীন মানুষের কাছে চির নবীন। এই বাইশে শ্রাবণ বিশ্বব্যাপী রবি-ভক্তদের কাছে একটি শূন্য দিন।

কিন্তু কবিগুরুর লেখা গান, কবিতা ও উপন্যাসে রবিভক্তরা সদা বিচরন করেন। উল্লেখ্য কর্মজীবনে কবিগুরু মৃত্যুকে জয় করেছেন বারবার। মৃত্যুবন্দনা করেছেন তিনি এভাবে- ‘মরণ রে, তুঁহু মম শ্যাম সমান। এদিন কোভিড প্রোটোকল মেনে হুগলি জেলা জুড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। ছোট্ট ছোট ঘরোয়া পরিবেশ কবিগুরুর স্মৃতি চারনা করেন বিশিষ্টজনেরা।এই বিষয়ে আরামবাগের বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক বিভাংশু দত্ত জানান, আমারা শ্রদ্ধার সাথে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন যেমন পালন করি ঠিক সেই ভাবে মৃত্যুদিন পালন করি না। কারন আমাদের অন্তরে তিনি আছেন। আসলে বিশ্বাস করতে পারি না তিনি ইহোলোক ত্যাগ করেছেন। তিনি আছেন। তিনি তার কর্মের মধ্যে, চিন্তার মধ্যে ও দর্শনের মধ্যে আছেন।আর আগামী দিনেও থাকবেন। ২২ শে শ্রাবন তারিখটা নির্মম সত্য। তিনি ইহোলোক ত্যাগ করেছেন সত্য। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ রয়ে গেছেন বিশ্ববাসীর হৃদয়ের মনিকোটায়। অন্যদিকে কবি সাধন বারিক বলেন,
” কফিনে আমার রবীন্দ্রনাথ,
কবরে গীতাঞ্জলি।
চিতার আগুনে রবীন্দ্রনাথ, এই ছিলো অঞ্জলি। “

সবমিলিয়ে ১৯৪১ সালে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির ঘড়িতে তখন ২২শে শ্রাবণের বেলা ১২টা বেজে ১০ মিনিট। কবি গেলেন অমৃতআলোকে। হুগলি জেলার মানুষ এদিন প্রকৃতির বিষাদ সুরের মাঝেই মর্যাদার সাথে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়ান দিবস পালন করে।