এই মুহূর্তে জেলা

লকডাউনে নাবালকদের চুরি করার প্রবনতা বাড়ছে আরামবাগে।

হুগলি , ২ জুন:- লকডাউনে নাবালকদের চুরি করার প্রবনতা বাড়ছে হুগলি জেলার আরামবাগে। পুলিশও দ্রুত চুরির কিনারা করে অভিযুক্ত নাবালকদের গ্রেপ্তার করে কোটে পাঠাচ্ছেন। এদিন আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় একটি দোকানে চুরির ঘটনার তিন জন নাবালককে গ্রেফতার করে কোটে পাঠায় আরামবাগ থানার পুলিশ। নাবালক হওয়ায় আরামবাগ মহকুমা আদালতে না তুলে হুগলির উত্তরপাড়া জুভেনাইল কোর্টে পাঠায় আরামবাগ থানার পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, একটি বেকারির দোকানে চুরি হয় বেশ কয়েকদিন আগে। সেই চুরির কিনারা করতে গিয়ে পুলিশ দেখে এই ঘটনার সঙ্গে তিন চার জন যুক্ত। তার মধ্যে তিন জন নাবালক।

তিন জন নাবালক গ্রেফতার হলেও বাকিরা কিভাবে যুক্ত অথবা বড়ো কোনও পান্ডা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে প্রশ্ন উঠছে নাবালকদের মধ্যে চুরির প্রবনতা বাড়ছে কেন।লকডাউনে এই প্রবনতা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন এলাকার বুদ্ধিজীবী মহল।এই বয়সে যাদের পড়াশোনা করা প্রয়োজন তারা ক্রমশ চুরির মতো অসামাজিক কাজে যুক্ত হয়ে পড়ছেন।কিন্তু কেন এই প্রবনতা। প্রশ্ন তুলছেন এলাকার বুদ্ধিজীবী মানুষ। তাদের দাবী, এই বিষয়ে নাবালকদের বাবা ও মায়েদের দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি সমাজ পরিচালকদের এই ব্যপারে সচেতনমুলক কর্মসূচি নিতে হবে। সমাজ পরিচালক ও সরকারকে গঠন মুলক পরিকল্পনা গ্রহন করে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। তা না হলে আগামীদিনে সমাজ ভয়ঙ্কর পরিনতির দিকে এগিয়ে যাবে।

অপরদিকে এদিন হারিয়ে যাওয়া দামি মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দিলেন আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মন্ডল। এই বিষয়ে আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মন্ডল বলেন, ভোটের জন্য মোবাইল উদ্ধারের কাজ দুই তিন মাস বন্ধ ছিলো। এখন আমরা আবার শুরু করেছি। এদিন কয়েকটি দামী মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওনারা আরামবাগ এসডিপিও ফেসবুক পেজে অভিযোগ করেন। তারপর ওদের থানা অভিযোগ জানাতে বলা হয়। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে এই মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়।সবমিলিয়ে এদিন পুলিশের এই সাফল্যে খুশি এলাকার মানুষ।