এই মুহূর্তে কলকাতা

সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ে একাধিক বাঁধ ভাঙ্গায় , সেচ দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী।

কলকাতা , ২ জুন:- সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে একাধিক নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি শেষ দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি গতবছর ঘূর্ণিঝড় আমফানের সময় উপড়ে যাওয়া গাছগুলির পরিণতি কি হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সে সম্পর্কে রিপোর্ট তলব করেছেন। তিনদিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলিকে সে সম্পর্কে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। নবান্নে আজ এক পর্যালোচনাঃ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সেচ দফতরের কাজ নিয়েও তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি বলেন, প্রতিবছরই সেচ দফতর লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বাঁধ সারাচ্ছে আর প্রতিবছরই তা ভেঙে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা একমাত্র প্রকৃতিরই রয়েছে। রাজ্য সরকার বিপর্যয় রুখতে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ বসিয়েছে। দুই ২৪ পরগনা ও মেদিনীপুরে আরও ম্যানগ্রোভ লাগানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, ১১ জুন ও ২৬ জুন ভরা কটাল রয়েছে। তার আগে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করতে তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।

দিঘা সৌন্দর্যায়েনর কাজ প্রসঙ্গে এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন দিঘায় সৌন্দর্যায়নের ভিত্তিটাই ভুল হয়েছে। বছরের পর বছর ব্রিজের কাজ কেন আটকে আছে তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন ।দিঘার চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে এ ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে হবে বলে তিনি জানান। পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় এ সুন্দরবনে বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ সবথেকে বেশি ভেঙেছে। বিদ্যাধরীর জলে বেশিরভাগ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রয়োজনে ১০০ দিনের কাজের লোকেদের ওই বাঁধ মেরামতের কাজে ব্যবহার করতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। নদীর ভাঙন রুখতে কয়েকটি প্রস্তাবও পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, বন দফতর ৫ কোটি করে ম্যানগ্রোভ দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বসানো হোক। ভাঙন রুখতে নদীর পাড়ে ভ্যাটিভার ঘাস লাগানো হোক।