এই মুহূর্তে জেলা

চন্দননগরে বাম আমলের অসম্পূর্ন স্টেডিয়াম , দুঃষ্কৃতিদের আখরা !

সুদীপ দাস, ১১ জানুয়ারি:- বিগত ১১ বছরে হয়েছে শুধুই পরিদর্শন। কিন্তু বাম আমলে শুরু হওয়া চন্দননগরের ১নম্বর ওয়ার্ডের বিবিরহাট চড়কতলার স্টেডিয়ামের কাজ এতটুকু এগোয়নি মা-মাটি সরকারের আমলে। বর্তমানে ওই স্টেডিয়ামের একাংশ ছোটখাটো জঙ্গলে পরিনত হয়েছে। আর গ্যালারির নীচের ঘরগুলি হয়ে উঠেছে দুঃষ্কৃতিদের আখরা। সন্ধ্যা নামনে মদ-জুয়ার আসর বসছে সেখানে। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। রাতে অন্ধকারে যে মদের আসর বসে তা এখানে আসলেই প্রমান মিলবে। ঘরগুলির যত্রতত্র পরে রয়েছে প্লাস্টিক গ্লাস ও মদের বোতল।

গোটা চন্দননগরবাসী চেয়েছিলো বাম আমলের অসম্পূর্ন স্টেডিয়াম তৃণমূল আমলে সম্পূর্ন হোক। এলাকায় একটি খেলাধুলোর পরিবেশ গড়ে উঠুক। পাশাপাশি স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতি হোক। কিন্তু সেই চাওয়া, চাওয়াই রয়ে গেছে। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে কংক্রিটের এই স্টেডিয়াম যেই অবস্থায় ছিলো, ঠিক সেখানেই রয়েছে। বিগত ১১ব ছরে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি চন্দননগর পুরনিগমও তৃণমূলের দখলেই রয়েছে। কিন্তু স্টেডিয়ামের কাজ এতটুকু এগোয়নি। স্থানীয়রা বলেন বিগত ১১ বছরে বহুবার সরকারী প্রতিনিধিরা ওই স্টেডিয়াম পরিদর্শনে এসেছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সামনেই চন্দননগর পুর নিগম নির্বাচন। তাই স্থানীয়রা চায় ভোট মিটে গেলে এবার অন্ততঃ স্টেডিয়ামের অসম্পূর্ন কাজ সম্পূর্ন হোক।

ভারতীয় জনতা পার্টির হুগলী সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন তৃণমূল লোক দেখানো স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছে। কিন্তু স্টেডিয়ামের কোন কাজই করেনি। বর্তমানে পরিত্যক্ত ওই স্টেডিয়াম দুঃস্কৃতিদের আঁতুড় ঘর হয়ে উঠেছে। যদিও কাজে দেরী হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে চন্দননগরের বিদায়ী মেয়র তথা তৃণমূল নেতা রাম চক্রবর্তী বলেন স্টেডিয়ামের বিষয়টিকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এবারও পুরবোর্ড আমরাই গঠন করবো। তারপরই স্টেডিয়ামের অসম্পূর্ন কাজ সম্পূর্ন করা হবে।