এই মুহূর্তে জেলা

প্রায় ৫৯ ঘন্টা পর গেঞ্জি কারখানার ভেতর থেকে চার নিখোঁজ শ্রমিকের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার।

ব্যারাকপুর , ২৯ মে:- প্রায় ৫৯ ঘন্টা পর গেঞ্জি কারখানার ভেতর থেকে চার নিখোঁজ শ্রমিকের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার।,ব্যারাকপুরঃ- অবশেষে ৫৯ ঘন্টা পর নিউ ব্যারাকপুরের বিলকান্দা শিল্পতালুকের গেঞ্জি কারখানার ধংসাবাস থেকে উদ্ধার করা হল নিখোঁজ চার শ্রমিকের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ। প্রসঙ্গত গত বুধবার রাত আড়াইটে নাগাদ ওই শিল্পতালুকের একটি গেঞ্জি কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি ওষুধের গোডাউনে। তিনতলা বিশিষ্ট ওই বিল্ডিংয়ের দুটি গোডাউনে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় কারখানা ও গোডাউনটি কার্যত ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। যদিও আগুন লাগার পর আড়াই দিন অতিক্রান্ত হলেও ওই বিল্ডিংয়ের কিছু কিছু জায়গায় এখনও ধিকিধিকি আগুন জ্বলছে। এদিকে শনিবার জেসিবি মেশিন দিয়ে অভিশপ্ত ওই বিল্ডিংয়ের দেওয়ালের বিভিন্ন অংশ ভেঙে দেওয়ার পর ড্রোনের মাধ্যমে নিখোঁজ শ্রমিকদের খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিস ও দমকল।

এরপরই তিন তলার ছাদে ওঠার শিড়ির কাছে দগ্ধ অবস্থায় ওই চার শ্রমিকের হদিশ মেলে। পরবর্তীকালে ওই চারজন হতভাগ্য শ্রমিকের আত্মীদের ভেতরে নিয়ে গিয়ে পুলিশ মৃতদেহগুলি শনাক্ত করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আগুন লাগার পর কারখানার ভেতর আটকে পরা ওই চার শ্রমিক নিজেদের প্রান বাঁচানোর জন্য তিনতলার চাদে ওঠার চেষ্টা করে। কিন্তু ছাদের দরজা বন্ধ থাকায় তারা প্রান বাঁচতে অক্ষম হন। কার্যত শিড়ির ওপর অগ্নিদগ্ধ হবার পর শ্বাসরোধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে আজ ঘটনাস্থলে যান ব্যারাকপুরের নগরপাল মনোজ ভার্মা। তিনি বলেন,মৃতদেহগুলি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। সেগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোও হয়েছে। এই পুলিশ ও দমকল বিল্ডিংয়ের মালিকের বিরুদ্ধে সমস্থরকম আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল আসবে নমুনা সংগ্রহের জন্য।