এই মুহূর্তে কলকাতা

যশ-এর ক্ষয়ক্ষতি ছুঁয়ে যেতে পারে আম্ফানকে।

কলকাতা , ২৬ মে:- গত বছর সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে রাজ্যে প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সরাসরি পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানা সেই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে মোট পরিমাণ রাজ্য সরকারের হিসাবে ছিল এক লক্ষ কোটি টাকা। একবছর পর ফের এক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে রাজ্যে। এবার ঝড়ের সরাসরি প্রকোপ থেকে বাঁচলেও প্রবল জলোচ্ছাসে বাণভাষী হয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলা। প্রণাহানি না হলেও ব্যপক পরিমাণে সম্পদহানির আশঙ্কা রয়েছে। বাঁধ ভেঙে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি প্লাবিত হয়েছে। পুকুর-জলাশয়ে নোনা জল ঢুকে মাছ চাষেরও ব্যপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।জলের চাপে বহু কাঁচা বাড়ি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। বহু পাকা বাড়ি ও বিদ্যুতের খুঁটি সহ অন্যান্য কাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই আম্ফানের সমতুল্য না হলেও ঘূর্ণিঝড় যশ-এর প্রভাবেও এরাজ্যে ক্ষয়ক্ষতির অঙ্ক নেহাত কম হবে না বলে প্রাথমিক হিসাবের পর মনে করছে রাজ্য সরকার। অগ্রীম ক্ষতিপূরণ বাবদ কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই রাজ্যকে চারশ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তবে প্রকৃত ক্ষতি তার বহুগুণ বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা।

রাজ্যের বিপর্য়য় মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব মেদিনীপুর,পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণার মতো ক্ষতিগ্রস্ত জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বেশিরভাগটাই এখনও জলের তলায়। সেই জল না সরলে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত অঙ্ক নিরূপণ করা সম্ভব নয়। তাই সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করে রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে নবান্ন। বুধবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ কিছুটা স্তিমিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকে বিভিন্ন দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করেন। তিনি জানান রাজ্যের প্রায় ১ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে ১৩৪টি নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যশের দাপটে। সেই সব নদীবাঁধ সারাই তথা মেরামত করতে রাজ্য সরকার টাস্ক ফোর্স গঠন করছে।মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্স ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করে রাজ্যের পূণর্গঠনের ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেবে। পাশাপাশি জেলায় জেলায় ঘুরে তিনি নিজেও ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন মমতা।