এই মুহূর্তে কলকাতা

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।


কলকাতা , ৪ মে:- রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা ও বিরোধীদের ওপর শাসকদলের হামলা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়কে ফোন করে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। রাজ্যপাল নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন একথা। মঙ্গলবারই পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এদিন প্রধানমন্ত্রী নিজে উদ্বেগ প্রকাশ করায় সারা দেশের নজর ঘুরে গেছে এরাজ্যের পরিস্থিতির দিকে। বিরোধীদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রাজ্যের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে কমিশনের প্রতিনিধি দল রাজ্যে আসছে। রবিবার ভোটের ফল বেরোবার রাত থেকে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা ও খুনের অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবারই এই বিষয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয় বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। তারপরেই রাজ্য পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। একই সঙ্গে রাজ্যের সার্বিক অশান্ত পরিবেশ নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও পুলিশ কমিশনারকে তলব করেন। স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে রাজভবনে দীর্ঘ আলোচনার পর নিজের চিন্তার কথা ব্যক্ত করেন রাজ্যপাল।

এদিন প্রধানমন্ত্রী ফোন পাওয়ার পর আবার তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনলাপ হল, তিনি পশ্চিমবঙ্গের ভোটের ফলাফলের পরবর্তী হিংসা নিয়ে খুবই চিন্তিত। আমি তাঁকে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি জানিয়েছি। উনি পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন আমাকে। অবিলম্বে অবস্থার দ্রুত উন্নতির আবেদন জানাচ্ছি। বিজেপির তরফে জানানো হয় ভোটের রেজাল্ট আউট হওয়ার পর গত দু’দিন ধরে রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় মোট ছয় জনকে হত্যা করেছে তৃণমূলের গুণ্ডারা। এছাড়াও একাধিক বাড়ি ভাঙচুর, বিজেপি কর্মীদের দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি আজ জানিয়েছেন, এখন রাজ্যের ক্ষমতা রাজ্যপালের হাতে। তিনি চাইলেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিতে পারেন। আগে রাজ্যের পরিস্থিতি ঠিক করা দরকার।’

বিজেপি কর্মীদের খুন ও হত্যার ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। আজই সোনারপুর সহ একাধিক জায়গায় নিহত বিজেপি কর্মীদের বাড়ি যাওয়ার কথা তার। এছাড়াও রাজ্যে বিজেপির ফল এত খারাপের কারণ বিশ্লেষণ করবেন তিনি। আগামীকাল অর্থাৎ ৫ মে বুধবার তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের সময় দেশজুড়ে বিজেপি কর্মীদের তৃণমূলের গুণ্ডাদের আক্রমণের প্রতিবাদে ধর্নায় বসবেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে এদিনও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্ করতে যান মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার। সেখানে তাঁদের সঙ্গে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর একপ্রস্ত মত বিনিময় হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।