এই মুহূর্তে জেলা

ডোমজুড়ে গদ্দারটার জামানত বাজেয়াপ্ত করে দিন , নাম না করে রাজীবকে আক্রমণ মমতার।

হাওড়া , ৮ এপ্রিল:- ডোমজুড় কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ ঘোষের সমর্থনে জনসভার মঞ্চ থেকে নাম না করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে গদ্দার বলে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার প্রচারের শেষ দিনে বালি দূর্গাপুর শতদল সংঘ ময়দানে আয়োজিত এক জনসভায় মমতা উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, “ডোমজুড়ে গদ্দারটার জামানত বাজেয়াপ্ত করে দিন।” এদিন মমতা তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমরা সকলে একসাথে বাঁচতে চাই। বাংলাকে গুজরাট করতে দেবনা।” মহিলাদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, “হাতা, খুন্তি নাড়তে নাড়তে বিজেপিকে বলুন খেলা হবে খেলা হবে। বিজেপি খালি হবে। বিজেপিকে গোল দিয়ে মাঠের বাইরে করে দিন। আর নেই দরকার বিজেপির সরকার। চাই না চাই না দাঙ্গাবাজদের চাই না।” মমতা বলেন, “আমি একা নই। আমার সঙ্গে আপনারা আছেন। ওদের অনেক টাকা। দাঙ্গাবাজি করে ভোট হয়না। রেল, সেল, এয়ার ইন্ডিয়া বিজেপি সব বিক্রি করে দিয়েছে। ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দিচ্ছে। এই বিজেপিকে দেশ থেকে বিদায় করতে হবে। নাহলে আপনাদের অধিকারটুকুও থাকবে না।”

এদিন প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, “আমাকে ভেঙিয়ে কি লাভ আপনার? আমি আমার মতো কথা বলি। আমি আমার মতো চলি। আপনি আপনার মতো চলুন। লক্ষ্মণরেখা পেরবেন না। রাজনীতিতে সৌজন্য থাকা উচিত।” মমতা বলেন, “তৃণমূল ক্ষমতায় এলে মহিলাদের লক্ষ্মী ভাণ্ডারে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে হাত খরচ দেওয়া হবে। স্টুডেন্টদের পড়াশোনার জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে। যার গ্যারান্টার থাকবে রাজ্য সরকার।” এদিন মমতা বলেন, কারসাজি করে ওই মীরজাফর জনগণের টাকা মেরে দিয়েছে। সেচ মন্ত্রী থাকাকালীন ওর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পেয়েছিলাম আর সেই কারণেই ওকে সরিয়ে বন দপ্তরের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তবে ওর চাহিদা ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের দায়িত্ব। কারণ ওই দপ্তর দিলে ও বেশি করে কমিশন খেত। কলকাতা থেকে দুবাই গদ্দারের প্রচুর সম্পত্তি আছে। এদিন তিনি নাম না করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্পত্তির হিসেব দিতে বলেন মমতা। এদিন কমিশনের শোকজ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন দশটা শোকজ করলেও আমার কিছু যায় আসেনা। আমার একটাই উত্তর হবে। নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কেন কোন অভিযোগ করা হচ্ছে না এই নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন মমতা।