এই মুহূর্তে জেলা

সাঁতরাগাছি স্টেশনে দ্বিতীয় ফুট ওভারব্রিজ। ভার্চুয়ালি উদ্বোধন রেলমন্ত্রীর।

হাওড়া , ১৯ ফেব্রুয়ারি:- পশ্চিমবঙ্গে আধুনিক রেল পরিষেবার লক্ষ্যে হাওড়ার সাঁত্রাগাছি স্টেশনে দ্বিতীয় ফুট ওভারব্রিজের উদ্বোধন হল। শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল। এছাড়াও সাঁকরাইল ফ্রেট টার্মিনাল( ফেজ-১ ) হাওড়ায় বিবেকানন্দ মেডিটেশন সেন্টার সহ রাজ্যের আরও কয়েকটি প্রকল্পের সূচনা হয় এদিন। উন্নতমানের যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য ও আধুনিক রেল পরিষেবার লক্ষ্যে হাওড়ার সাঁতরাগাছি স্টেশনে এই দ্বিতীয় ফুট ওভারব্রিজ চালু করল ভারতীয় রেল। শুক্রবার বিকেল ৩ টেয় এই ফুট ওভারব্রিজের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী। এদিন তিনি তাঁর ভাষণে বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে সাঁতরাগাছি স্টেশনে এই ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।

স্টেশনের এক প্রান্ত থেকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে সংযোগকারী ১৬৬ মিটার লম্বা এবং ১২ মিটার চওড়া এই প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। এই ফুট ওভারব্রিজটি স্টেশনের সমস্ত প্ল্যাটফর্মকে সংযুক্ত করেছে। এর ফলে যাত্রী চলাচলের সুবিধা হবে। এদিনের ভাষণে রেলের পরিকাঠামো প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, সিগনালিং ব্যবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো হয়েছে। রেলের পরিকাঠামো এখন অনেক উন্নত। পরিকল্পনামাফিক কাজ করার ফলে রেলের আয় হচ্ছে অনেক বেশি। এখন বাইরে থেকে প্রযুক্তি না এনে দেশীয় প্রযুক্তি রেল ব্যবহার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, রেল পরিষেবা এখন অনেক স্বচ্ছ। রেল পরিষেবায় এখন কোনও সমস্যা নেই। রেল স্টেশন অপরিষ্কারের খবর পাওয়া যায়না। রেলের প্রায় ৮ হাজার স্টেশন সবসময় পরিষ্কার রাখা হয়। প্রত্যেকটি স্টেশনে ব্যবস্থা করা হয়েছে পানীয় জলের। তিনি জানান, এই পরিষেবার থেকে আরও উন্নত পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে রেল। এক সময় দূরপাল্লার ট্রেনের ট্যাঙ্ক থেকে জল জল পড়ে নষ্ট হত। এর ফলে এক সময় জল শেষ হয়ে গেলে যাত্রীরা জল সমস্যায় ভুগতেন।

এখন সমগ্র যাত্রাপথে যাতে জলের সমস্যা না হয় তার জন্য ট্রেনের জলের ট্যাঙ্কগুলির ব্যবস্থা নিয়েছে রেল। নিমতিতা ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ঘটনার তদন্ত হবে। যারা দোষী তাদের সাজা হবে। এই ঘটনার পূর্ণতদন্ত করা হবে বলে তাঁর দাবি। এদিন খড়গপুর শাখার ডিআরএম মনোরঞ্জন প্রধান জানিয়েছেন, সাঁতরাগাছি স্টেশন নিয়ে যে প্রজেক্ট চলছে তার কাজ এখনো শেষ হয়নি। করোনার সংক্রমণের কারণে সেই কাজ থমকে গিয়েছিল। এখন আবার কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রজেক্টের কাজ এক বছরের মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন। নিমতিতার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি জানান আরপিএফ সবসময় সতর্ক থাকে। এখনো সতর্ক রয়েছে। সাঁতরাগাছি স্টেশনে এস্কেলেটর তৈরী প্রসঙ্গে তিনি জানান, তৈরীর কাজ চলছে শুধু মোটর ও ইলেক্ট্রিকের কাজ বাকি আছে।