কলকাতা , ১১ ফেব্রুয়ারি:- বাম ছাত্র যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে পুলিশি নিগ্রহের অভিযোগে শুক্রবার রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বামফ্রন্ট। হরতালে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেসও। এদিকে দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস পরে এদিন থেকেই রাজ্যে খুলছে স্কুল। কোভিড এখনো পুরপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানোর ব্যাপারে সন্দিহান অধিকাংশ অভিভাবক। সেখানে স্কুল খোলার প্রথম দিনে বামেরা ধর্মঘট ডাকা য় তাদের উদ্বেগ বহুগুণে বেড়ে গেছে। দোলাচলে পরেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সরকারি নির্দেশ মেনে স্যানিটাইজেশন সহ সমস্ত কাজকর্ম করে ফেললেও এদিন থেকে ক্লাস চালু করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাদের। যদিও রাজ্য সরকার জানিয়েছে শুক্রবার থেকে স্কুল চালু করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হচ্ছে না।
রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, আগামী কাল স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত বদল হবেনা। এত দিন ধরে পঠন পাঠন শুরু করার জন্য পরুয়ারা উদগ্রীব ছিল। তার পর স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হলো। অথচ এসব বিষয়ে নজর না দিয়ে এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। তবে ছাত্র ছাত্রীরা কীভাবে আসবে ইত্যাদি বিষয়ে স্কুল কর্তপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার তা মেনে নেবে বলে পার্থ বাবু জানিয়েছেন।রাজ্য সরকারের তরফে তাদের নিরাপত্তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হবে বলেও শিক্ষা মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে বামেদের ডাকা ধর্মঘট মোকাবিলায় প্রশাসন সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে দাবি করেছে নবান্ন। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে শহরের বিভিন্ন জায়গায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় কুইক রেসপন্স টিম মোতায়েন করা হবে। মেট্রো এবং পূর্ব রেলের বিভিন্ন স্টেশনের পাশাপাশি নজরদারির জন্য জেলা পুলিশও অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করবে।জোর করে অবরোধ, দোকানপাট বন্ধ করার চেষ্টা করা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার সদর শুভঙ্কর সিনহা রায় জানিয়েছেন।