এই মুহূর্তে জেলা

ফ্রি’তে রেশন খেয়ে মমতার সমালোচনা করছে বিজেপি – তপন দাশগুপ্ত।

হাওড়া, ৫ ফেব্রুয়ারি:- ফ্রি’তে রেশন খেয়ে মমতার সমালোচনা করছে বিজেপি। মমতার সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা যারাই করবে, সেই দল ডুববে। তৃণমূলের ভোট বাড়বে। হাওড়ায় বললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা হুগলির তৃণমূল নেতা তপন দাশগুপ্ত। শুক্রবার হাওড়ায় লেক ল্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে ওয়েস্ট বেঙ্গল কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের ৫৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি ওই মন্তব্য করেন। তপন দাশগুপ্ত বলেন, “মমতা ব্যানার্জি রেশন ব্যবস্থা ফ্রি করেছেন। বিজেপিও ফ্রি’তে রেশন খাচ্ছেন আর সমালোচনা করে বলছেন আমাদের সরকার নাকি কালোবাজারি করছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আমাদের সরকার করেছে সকলের জন্য। বিজেপিও এর সুবিধা নিচ্ছে। এর ৫ লক্ষ টাকা করে সুবিধা ভোগ করছে। দিলীপ ঘোষের আত্মীয়রাও অনেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েছেন। আর বিজেপি সমালোচনা করছেন সরকার নাকি কালোবাজারি করছে। আসলে কালোবাজারি কারা করছেন বাংলার মানুষ জানেন। ২০১১ সাল থেকে যিনি এই বাংলার উন্নয়ন ঘটিয়েছেন তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা কি ছিল, আর গোটা বাংলার পরিবর্তন যিনি করেছেন তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে যারা সমালোচনা করবে সেই দলই ডুববে।

তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট বাড়বে। আজকে আমি যা কিছু হয়েছি, মন্ত্রী হয়েছি, সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদেই হয়েছি। তিনি আমাকে তৃণমূলের নেতা বানিয়েছেন। আমার হুগলিতে দলের ভালো রেজাল্ট হয়েছে। সুতরাং, একটা বটগাছের যদি ৫টা পাতা ঝরে যায় তাতে বটগাছের কি কোনও ক্ষতি হয়? আমি মনে করি এই দল থেকে কে গেল, কে এলো তাতে দলের কোনো ক্ষতি হবেনা। কর্মীরা দিদির সঙ্গে আছে। কেউ যদি চলে যায় তাতে ক্ষতি কিছু হবেনা। কারণ দলে একটাই নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি রাজনীতি করি। আমি বিধায়ক। আমি যদি এলাকায় কাজ করি কর্মীরা আমার সঙ্গে থাকবে। আর যদি কাজ না করে বাতেলা করি তাহলে কর্মীরা থাকবে না।” মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত আরও বলেন, “কোল্ড ষ্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সব কাজ করে। যখন আলুর সমস্যা ছিল তখন তাদের কাছ থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি। সরকারও তাদের সাহায্য করেছে। কোল্ড স্টোরেজের মালিকরা বলবেন আগে কোল্ড স্টোরেজ কি অবস্থায় ছিল। আর এখন কি অবস্থায় আছে। আবহাওয়ার জন্য আলুর কম ফলন হয়েছে। তারপরেও কালোবাজারির মধ্যে কোল্ড স্টোরেজের মালিকদের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়া গেছে। আগে সুফল বাংলা স্টল ছিল ১৭৭টি। লকডাউনের মধ্যে সেই সংখ্যা নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৫২২টি। এই কোল্ড স্টোরেজের মালিকদের কাছ থেকে আলুর যোগান ঠিকমত না পেলে ২৫ টাকা দরে আলু দেওয়া সম্ভব হতো না।

পঞ্চায়েত এলাকার কিছু কিছু জায়গায় সরকার নির্ধারিত ট্রেড লাইসেন্সের অনেক বেশি কোথাও কোথাও কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। এই ব্যাপারে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি সঙ্গে আলোচনা করব।” এদিন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত ওয়েস্ট বেঙ্গল কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের ৫৬ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “আপনারা ভালো করে ব্যবসা করুন। সরকার আপনাদের সঙ্গে আছে। করোনার সময় যেভাবে আপনারা পরিষেবা দিয়েছেন তা প্রশংসার যোগ্য। রাজ্য সরকার মানবিক মুখ। গত ৯ বছরে সরকার বাংলায় অনেক উন্নয়ন করেছে। বাংলায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভাগ্য করে আমরা পেয়েছি। বাংলায় এতো উন্নয়ন আগে হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার সেই উন্নয়ন করেছেন। তিনিই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন।” মন্ত্রী বলেন, “কোল্ড স্টোরেজের জন্য সরকার অনেক কাজ করেছে। সবাই এতে সুফল পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিলের প্রতিবাদে এ রাজ্যেও আন্দোলন হচ্ছে। আমরা এই কৃষি বিল মানি না।”