এই মুহূর্তে কলকাতা

রাজ্য সরকারি অফিস ফিরছে লকডাউন পূর্বাবস্থায়, বাধ্যতামূলক হল একশ শতাংশ উপস্থিতি।

কলকাতা , ৪ ফেব্রুয়ারি:- করোনা পরিস্থিতি বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসায় এবং যান চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হওয়ায় এবার রাজ্য সরকারি দপ্তরগুলোকেে লকডাউন পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে উদ্য়োগী হল নবান্ন।এবার থেকে সমস্ত সরকারি অফিসে প্রত্যেক দফতরে কর্মীদের ১০০ শতাংশ হাজিরা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দপ্তরের তরফে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে করোনা সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচলও মোটের ওপর স্বাভাবিক। তাই আগের মতো প্রতি দপ্তরে একশ শতাংশ কর্মীকে সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে একশ শতাংশ কর্মীর হাজিরা বাধ্যতামূলক করার পিছনে দুয়ারে সরকার, পাড়ায় সমাধানের মতো প্রকল্পকেও কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সব প্রকল্পের শিবিরে উপস্থিত থাকার কারণে সরকারি কর্মীদের চাপ বেড়েছে।তাই এবার কর্মী সংখ্যা বাড়িয়ে সেই চাপ কমাতে উদ্যোগী হয়েছে নবান্ন। নতুন নিয়ম অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তক কর্মীদের জন্যও প্রযোজ্য হবে। করোনা পরিস্থিতিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমেই গুরুত্ব দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বেসরকারি অফিস গুলিকেও যতটা সম্ভব ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় সরকারি কর্মচারীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নতুন করে গাইডলাইন জারি করেছিল রাজ্য সরকার৷ বিভাগীয় প্রধানদের তৈরি ‘রোস্টার’ অনুযায়ী এতদিন ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়েই কাজ কাজ চালাচ্ছিল দফতরগুলি। এবার ভোটের মুখে প্রতিটা দফতরে কর্মীদের ১০০ শতাংশ হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হল৷ উল্লেখ্য,গত বছরের ৮ জুন থেকে কর্মীদের ১০০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করে কলকাতা পুরসভা৷ তবে,সংক্রমণ রুখতে প্রতিটা সরকারি দফতরে গেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও থার্মাল স্ক্যানার রাখা হয়েছে।

হাত স্যানিটাইজ করে দেহের তাপমাত্রা দেখে তবে কর্মীদের ঢোকানো হচ্ছে ভিতরে। এদিকে,বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৮১ জন৷ মৃত্যু হয়েছে আরও ১০ হাজার ১৯৫ জনের৷ তবে মোট করোনামুক্ত হয়েছেন ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ১৯০ জন৷ তার ফলে রাজ্যে এই মূহুর্তে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাটা কমে ৫ হাজার ১৯৬ জন৷ বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী,একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০১ জন৷ রাজ্যে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের৷ মঙ্গলবার ছিল ৯ জন৷ সোমবার ছিল মাত্র ৬ জন৷ তারফলে বাংলায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ হাজার ১৯৫ জন৷ এদের মধ্যে শুধু কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৩,০৭৮ জনের৷ আর উত্তর ২৪ পরগণার সংখ্যাটা ২,৪৮৩ জন৷ এদিকে, বুধবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনের টিকাকরণ। এনআরএস-সহ তিন সরকারি হাসপাতালে টিকাদান করা হয়। এই নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা বেশ খুশি। তাঁরা সকলে কোভ্যাক্সিন নিয়ে সুস্থ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন।