এই মুহূর্তে জেলা

মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের কড়া জবাব দিলেন রাজীব।

হুগলি, ৩ ফেব্রুয়ারি:- নাম না করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের কড়া জবাব দিলেন রাজীব। এদিন হুগলির গুরাপের জনসভা থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন সবে খেলা শুরু হয়েছে খেলা এখনো বাকি আছে। আমরা ভালো খেলতে পারি। শাসক দল ভয় পেয়ে গেছে। গলা কাপছে। এত ব্যাক্তিগত কুরুচিকর আক্রমন করার দরকার নেই। দিনের পর দিন অন্য জনপ্রতিনিধিদের নিজের দলে যোগদান করিয়েছেন। তারা তখন গদ্দার হয়নি। তারা তখন মির্জফর হয়নি। তখন বলেছে উন্নয়নের জন্য এসেছে। আমরা দেখছি যে কাজ হয়নি তা যদি বিজেপিতে গিয়ে করা যায় তাহলে মির্জাফর হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন আমি কোনোদিন কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমন করিনি। আলপুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন বন সহায়ক নিয়োগে দূনীতি হয়েছে তদন্ত হবে। তার জীবাবে রাজীব বলেন বীরভূমের এক নেতা বলেছিলেন সব তার লোককে দিতে হবে ৮ অক্টবর ৯.৫৮ মেসেজের কপি রয়েছে মাননীয়াকে জানিয়ে দিতে চাই কোন নেতা মন্ত্রীরা কালিঘাট থেকে কোন সুপারিশ এসেছে।

আপনি কেচো খুরতে কেউটে আপনি বের করছে। আলিপুর দুয়ারের সভাপতির কাছ থেকে জেনে নিন সেও সুপারিশ করেছিল। সব তথ্য আমার কাছে আছে। আপনি বনো সহায়কের প্যানেল বাতিল করে দিন তাহলে দুধ কা দুধ পানি পানি কা পানি হয়ে যায়ে বিগত দিনে যে চুক্তি ভিত্তিক চাকরি হয়েছে এমনকি আমার পুরোনো দপ্তরের নিয়োগ নিয়ে কোথা থেকে সুপারিশ এসেছে। যত চুক্তি ভিত্তিক চাকরি হয়েছে সব কটার তদন্ত হোক। আমি যদি মুখ খুলি তাহলে সমুদ্র নরে যেতে পারে। শুধু বট গাছের পাতা পরবে না। সমুদ্রের দু ঘটি জল যাবে না। রাজনীতি হল রাজার নীতি।মানুষের জন্য কাজ করব বলে সব সময় চেষ্টা করেছিলি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দিই নভেম্বরে বনো সহায়ক পদে নিয়োগ হয়েছে। তাহলে যদি দূর্নিতি করে থাকি তাহলে আমাকে কেন তারিয়ে দেননি। আমি ছেড়ে দিয়েছি।

আমি সব ফোনে রেকর্ড করে রেখেছি। কাকে দিয়ে ফোন করিয়েছেন দলে রাখার জন্য। আমি ভাবছিলাম এত কিছু বলব না। কিন্তু আপনি পেন্ডুলাম খুলেছেন শুনতে তো হবেই। আলু সিন্ডিকেটের সঙ্গে কারা যুক্ত আছে। চারিদিকে কিষান মান্ডি তৈরী হয়েছে। কটা কাজ করছে জনগনের টাকা এই ভাবে নয়ছয় করছে। এখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বেরিয়ে পরেছে। এটা ভাওতা কার্ড। চলে যান হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে। কোনো চিকিংসা পাবেন না। একটা শিল্প হয়নি। বড় বড় শিল্প সম্মেলন করেছেন। বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে বেকারদের চাকরি দেবে। আমি শুভেন্দু প্রবীর দারা বিজেপিতে এসেছি ওখানে কাজ করতে পারছিলাম না। কাঁধে মিলিয়ে লড়তে হবে তৃনমূলকে বিদায় দিতে হবে। চলুন পাল্টাই। ওরা আপনাকে ভয় দেখাবে ধমকানো চমকানো শুরু করেছে চুপচাপ পদ্মছাপ।