এই মুহূর্তে কলকাতা

এখন থেকে প্রতি মাসে মিড ডে মিলের সঙ্গে ডাল , সোয়াবিন ও চিনিও দেওয়া হবে।

কলকাতা , ৩ ফেব্রুয়ারি:- অতিমারীর সময়ে স্কুল পড়ুয়াদের বাড়তি পুষ্টির প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে শিক্ষা দফতর তাদের প্রাপ্য খাবারের তালিকায় ডাল এবং সয়াবিন যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের তরফে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এখন থেকে প্রতি মাসে মিড ডে মিলের সঙ্গে ডাল, সোয়াবিন ও চিনিও দেওয়া হবে। এই অতিরিক্ত খাবারগুলি আগামী মার্চ ও এপ্রিল মাসে দেওয়া হবে। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও যাতে শিশুদের পুষ্টির যাতে অভাব না হয় তা নিশ্চিত করতেই মিড ডে মিলের খাবার বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য সরকার। লকডাউনের মধ্যে শিশুদের অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে প্রতি মাসে মিড ডে মিল সংগ্রহ করেন। প্রত্যেক মাসে মিড ডে মিল প্রাপক শিশুদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ২ কেজি চাল, ১ কেজি ছোলা, ১ কেজি আলু ও ১০ টাকার একটি সাবান।

এদিনের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রতি মাসে ২৫০ গ্রাম ডাল, ২০০ গ্রাম সোয়াবিন ও ৫০০ গ্রাম চিনিও এই খবারের সঙ্গে দেওয়া হবে। তবে এই সুবিধা কেবলমাত্র মার্চ ও এপ্রিল মাসেই পাওয়া যাব। প্রসঙ্গত, করোনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল। অনলাইন ক্লাস চললেও সরকারি স্কুলের মিড-ডে মিল প্রকল্প বন্ধই পড়ে রয়েছে। তার বদলে মিড ডে মিলের কাঁচামাল চাল-ডালের মতো খাদ্যশস্য পড়ুয়াদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আর এই ব্যবস্থা চালু হওয়াতেই আশঙ্কায় ভুগছিলেন মিড-ডে মিলের কর্মীরা। তাঁরা ভাবছিলেন, তাঁদের ভাতা বন্ধ যেতে পারে। কিন্তু তাঁদের কথা মাথায় রেখে মিড-ডে মিল বাড়ানোর পাশাপাশি আগেই মিড ডে মিল কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণাও করেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। স্কুল শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, কারও ভাতা বন্ধ হবে না। বরঞ্চ আগে মিড-ডে-মিল কর্মীদের ১০ মাসের ভাতা দেওয়া হত। এবার থেকে তা বাড়িয়ে ১২ মাস ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।