এই মুহূর্তে জেলা

পৌরপসভার গেট আটকে বিক্ষোভ অস্থায়ী শ্রমিকদের।

সুদীপ দাস , ২০ জানুয়ারি:- গতকালের ঘোষনামত পৌরসভার গেট আটকে বিক্ষোভ অস্থায়ী শ্রমিকদের। বন্ধ হুগলি-চুঁচুড়া পৌরসভা। কোন কর্মী ভিতরে ঢুকতে পারলো না। নাজেহাল জন পরিষেবা। প্রসঙ্গত গতকালই প্রয়োজনে নতুন কর্মচারী নেওয়া হবে, পুরসভার অস্থায়ী কর্মচারীদের আন্দোলনকে এভাবেই চ্যালেঞ্জ জানান চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। এরপরই শ্রমিকদের আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হলো। বেতন বৃদ্ধির দাবীতে হুগলি-চুঁচুড়া পৌরসভার অস্থায়ী কর্মচারীদের আন্দোলন নতুন নয়। গত বছর করোনা আবহের মধ্যেই তাঁরা তাঁদের আন্দোলন জারি রেখেছিলো। একের পর এক আন্দোলন মিটিং মিছিলে সরগরম হয়ে উঠেছিলো পুরসভা। জেরবার হয়েছিলো নাগরিক পরিষেবা। অস্থায়ী কর্মচারীদের দাবী মেনে নিয়ে সেসময় পৌরসভা জানিয়েছিলো আপাতত তাঁদের দৈনিক ৩০টাকা করে বেতন বৃদ্ধি হবে। দাবীমত বাকি ৩০টাকা অর্থাৎ দৈনিক ৬০টাকা করে জানুয়ারি মাসের প্রদেয় বেতনেই বাড়ানো হবে। চলতি মাসে বেতন হলেও বর্ধিত ৩০টাকা না মেলায় পুনরায় আন্দোলনে সামিল হয়েছে অস্থায়ী শ্রমিকরা।

এই অস্থায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সিংহভাগই সাফাই কর্মী। মঙ্গলবার শ্রমিক নেতা রাধেশ্যাম শঙ্খবনিকের নেতৃত্বে শ্রমিকরা পৌরসভা থেকে এক মিছিলের আয়োজন করে। মিছিল হাসপাতাল রোড ধরে চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে গিয়ে সমাপ্ত হয়। সেখানে এক প্রতিবাদ সভা আয়োজিত হয়। সভা চলাকালীন তাঁদের দাবীদাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয় সদর মহকুমা শাসককে। মহকুমা শাসক তাঁদের কাছে আগামি ২৯তারিখ পর পর্যন্ত সময় চেয়ে নেন। কথা ছিলো ২৯ তারিখ শ্রমিকদের সাথে বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হবে। কিন্তু অভিযোগ মঙ্গলবার রাতেই শ্রমিক নেতা রাধেশ্যাম শঙ্খবনিককে ১নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১৭নম্বর ওয়ার্ডে বদলি এবং তাঁর ছেলেকেও অন্য ওয়ার্ডে বদলি করা হয় পুরসভার পক্ষ থেকে। তারই প্রতিবাদে আজ পুনরায় পুরসভার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে অস্থায়ী শ্রমিকরা। ফলে এদিন পুরসভায় কোন কর্মীই ঢুকতে পারেনি। ফলে চরম সমস্যায় পরেন পরিষেবা নিতে আসা সাধারন মানুষরা। অবিলম্বে বদলির সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে পুরসভার গেট আটকে এই আন্দোলন চলবে বলে দাবী অস্থায়ী শ্রমিকদের।