এই মুহূর্তে কলকাতা

শত্রুর মোকাবিলায় প্রস্তুত বাহিনী , কলাকাতায় দাঁড়িয়ে হুঙ্কার রাওয়াতের

কলকাতা , ১৪ ডিসেম্বর:- দেশের ভূখণ্ড কে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখতে ভারতীয় সেনা কোন চেষ্টাই বাদ দেবে না সোমবার কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স নীলগিরি ক্লাস সেভেনটিন এ ফ্রিগেট যুদ্ধজাহাজ উদ্বোধনে এসে দেশের শত্রুদের আরও একবার হুঁশিয়ারি দিলেন বিপিন রাওয়াত। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ( সিডিএস) হিসেবে দেশের সেনাবাহিনীতে তাঁর জন্যই এই পদ তৈরি হয়। অতীতে সেনাবাহিনীর সবচেয়ে সম্মানজনক পদ ছিল ফিল্ড মার্শাল, যার অধিকারী ছিলেন স্যাম মানেকশ। বিপিন রাওয়াত বলেন, “উত্তর সীমান্তে চিন এককভাবে যে স্ট্যাটাস কো পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছে তা পূর্বপরিকল্পিত। এলএসি এলাকায় অতীতে দুই দেশের সেনা যে নিয়ম মেনে চলত তা বদলে গেছে এ ঘটনার পর থেকে। দুই দেশের সেনাবাহিনী একে অপরের মুখোমুখি। স্ট্যান্ড অফ এখনও শেষ হয়নি। চিনের মোকাবিলা করার জন্য জল,স্থল এবং আকাশ তিন জায়গাতেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সেই চেষ্টা আমরা করে চলেছি। আমি নিশ্চিত আমাদের তিন বাহিনী সবদিক থেকে তৈরি হয়েছে।

যে কোনও সময়ে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য একশো শতাংশ প্রস্তুতি রাখাটাই চ্যালেঞ্জ।” নিজেও অতীতে এসব এলাকায় কাজ করেছেন বলে শত্রুপক্ষের স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। পাল্টা পদক্ষেপ কিভাবে নিতে হয় জানেন তিনি। সাফ জানাচ্ছেন, “চিন-তিব্বত এলাকায় সামরিক সাজ-সরঞ্জাম নিয়ে এসেছে। ওদের লক্ষ্য করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের ব্যস্ত রেখে ভূগোল পাল্টে দেওয়া। সেটা আমরা জানি। শুধু ভারত কেন,যে কোনও দেশ নিজেদের সীমানা এবং সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার জন্য নিজেদের সবদিক থেকে তৈরি রাখার কাজ করতেই পারে। দেশের সব নাগরিককে বলতে চাই সীমান্তে যতক্ষণ আমরা রয়েছি আপনারা সুরক্ষিত।”তিনি বলেন জল, স্থল আকাশসীমা যেখানেই হোক সব জায়গায় ভারতীয় সেনা দেশের স্বার্থে সমানভাবে লড়াই করবে। ডোকালাম নিয়ে তিনি বলেন ২০১৭ সালে চীন এই সমস্যা তৈরি করেছিল।

ভারত এই নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি করছে না। পাকিস্তান সীমান্তে লাগাতার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করায় তা মোকাবিলায় ভারতীয় সেনা একের পর এক যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা বিপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। একাধিক চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে ভারতীয় সেনা ধীরে ধীরে আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে বলেও তিনি জানান। দেশের তিন বাহিনী কে এক জায়গায় এনে একটি প্লাটফরম তৈরি করায় ভারতীয় সেনার শক্তি অনেক গুণ বেড়েছে বলেও চিফ অফ আর্মি স্টাফ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য একদিন আগেই জানা গিয়েছিল চিন এবং পাকিস্তান দুই শত্রু দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধের প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে ভারত। দশ দিন থেকে বাড়িয়ে পনেরোদিন অস্ত্র মজুত রাখার ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। সেনার সর্বাধিনায়ক এদিন যা জানালেন তাতে যুদ্ধের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া যায় না।