এই মুহূর্তে কলকাতা

জিটিএ নির্বাচনের জন্য শুরু হয়েছে জোর কদমে প্রস্তুতি।

কলকাতা, ১৩ মে:- গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক প্রশাসন জিটিএ নির্বাচনের জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য দার্জিলিঙের জেলাশাসক তথা জিটিএ’র মুখ্যসচিব এস পুন্নমবলমকে জিটিএ’র নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি জলপাইগুড়ি ডিভিশনের ডিভিশনাল কমিশনার অজিত রঞ্জন বর্ধনকে ওই ভোটের পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচনের চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে জিটিএ নির্বাচন হতে পারে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রায় ১১ বছর বন্ধ থাকার পর ফের জিটিএ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু রাজ্যে পুরভোটের পর পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন করানো নিয়ে আগেই বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র ও হিল অ্যাফেয়ার্স দফতরের তরফে জেলাশাসক এস পুন্নমবলমকে নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব রাজভবনে পাঠায় নবান্ন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সেই প্রস্তাবে ছাড়পত্র দেন। এরপরই জিটিএ নির্বাচন নিয়ে একপ্রকার প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

২০১০ সালের জনগণনা অনুযায়ী জিটিএ এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা ৮ লক্ষ ৭৮ হাজারের বেশি। তবে বিধানসভা ও দার্জিলিং পুর নির্বাচনের আগে নতুন ভোটার যুক্ত হওয়ায় এই সংখ্যা বেড়ে দশ লক্ষ অতিক্রম করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। জিটিএ’র অধীন ৪৫টি সংসদ রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলোও। নতুন রাজনৈতিক দল অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি, অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, এসপি শর্মার ভারতীয় গোর্খা সুরক্ষা পরিষদ, হরকা বাহাদুর ছেত্রীর জন আন্দোলন পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম প্রস্তুতি শুরু করেছে। অন্যদিকে, জিটিএ অবৈধ ও পাহাড়বাসীর দাবিপূরণে বিফল হওয়ার অভিযোগ তুলে জিটিএ নির্বাচন থেকে সরে এসেছে জিএনএলএফ ও জোট সঙ্গী বিজেপি। যদিও এখনও জিটিএ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে পারেনি বিমল গুরুঙের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।