সুদীপ দাস , ৬ ডিসেম্বর:- সিঙ্গুরে চাষের জমিতে ধান কেটে মাঠেই ফেলে রেখেছে চাষীরা।চরম সমস্যায় দিন কাটছে চাষীদের। এদিন সিঙ্গুরের চাষীরা জানায় তাদের পরিস্থিতি এখন এগোলে সর্বনাশ পিছোলে আরো সর্বনাশ ।কেন্দ্রের সরকার থেকে রাজ্য সরকার সবাই শুধু প্রতিশ্রুতি দেয় চাষীদের জন্য কিন্তু চাষীদের জন্য মন থেকে কেউই ভাবেনা। যারা দিন রাত এক করে কিছু উপার্জনের জন্য রোদে পুড়ে জলে ভিজে চাষ করছে, যাদের জন্য মুখে অন্য উঠছে মানুষের তাদের অবস্থাই সব থেকে করুন। কৃষকদের জন্য নতুন কৃষি আইন এনেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিজেপি দাবি করছে এই আইনে অনেকটাই সুবিধা হবে চাষীদের। তেমনি আবার এই কৃষকদের কৃষি আইনের ফলে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়তে হবে এই কারণে কৃষি আইনের বিরোধিতা করে যাচ্ছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার সহ অন্য বিরোধী দলগুলি।
কিন্তু এসবের মাঝে ফাপরে পড়েছে চাষীরা। সিঙ্গুরের চাষীরা জানাচ্ছে তারা ধানের পর্যাপ্ত মূল্য পাচ্ছেনা। আবার ধান বিক্রি করতে গেলে সব ধান সরকার কিনছেও না। ফলে মাঠের ধান কাটার পর পরে থাকছে মাঠেই। চাষিপরিবারা এদিন দুঃখ করে জানায় চাষীদের চোখের জল মোছার কেউ নেই। এই মুহূর্তে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় উত্তাল দেশ। সিঙ্গুরের চাষীরাও অবশ্য জানাচ্ছে কেন্দ্রের আনা কৃষি আইন সম্পর্কে সেরাম ধারণা কিছুই নেই তাদের। তারাই পড়েছে দোটানায়। একদিকে বিজেপি বোঝাচ্ছে কৃষি আইন ভালো অপর দিকে বিরোধীরা বলছে কৃষকদের জন্য কৃষি আইন খারাপ। কিন্তু চাষীদের স্পষ্ট কথা সে বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার হোক বা রাজ্যের তৃণমূল সরকার সবাই শুধু ভালো প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু আসলে চাষীদের কথা ভাবেন কেউ।
সিঙ্গুরের চাষীদের সমস্যা এখন আরো বাড়িয়েছে আলু বীজের দাম। তারা জানান আলু বীজের দাম এবার অনেকটাই বেশি। তারা ধান বিক্রি করে আলু বীজ কিনে আলু চাষ করে। কিন্তু এবার ধানের সেভাবে দাম পাওয়া যাচ্ছেনা। তাই ঋণ নিয়ে আলু বীজ কিনে আলু চাষ করতে হচ্ছে। কিন্তু চাষের পর ঋণ কিভাবে শোধ হবে তার ধারণা নেই কারো। তাই সিঙ্গুরের চাষীরা একটাই কথা বলছে তাদের পরিস্থিতি এখন এগোলে সর্বনাশ আবার পিছলে আরো বেশি সর্বনাশ। কিন্তু এর থেকে প্রশ্ন একটাই উঠছে যে যে চাষীদের জন্য মুখে অন্ন ওঠে মানুষের তাদের কি এই অবস্থা কল্পনিয় ?? উত্তর খুঁজছে চাষীরাও।