হাওড়া, ২ ডিসেম্বর:- প্রতিবেশীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হল সন্তোষ দাস নামে ব্যক্তির। বুধবার হাওড়া জেলা আদালতে দোষীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। এদিন সরকারী আইনজীবী নির্মলেন্দু চট্টোপাধ্যায় জানান, ঘটনাটি ঘটে দাসনগর থানা এলাকার মেলাতলায়। ২০০৮ সালের ৩ মে রাত প্রায় ১২টা নাগাদ ওই এলাকার বাসিন্দা সুজিত ঠাকুর এবং তাঁর স্ত্রী যখন শুতে যাচ্ছিলেন তখন তাঁদের প্রতিবেশী সন্তোষ দাস এসে ডাকেন। এরপর সুজিত এবং অভিযুক্ত সন্তোষ বেশ কিচ্ছুক্ষণ কথা বলেন বাইরে। এরপর সন্তোষ সুজিতকে নিয়ে চলে যান। সেইদিন সুজিত আর বাড়ি ফেরেননি।
পরের দিন সকালে দক্ষিণ শানপুর জেলেপাড়ায় মুক্তি সংঘ ক্লাবের পাশের মাঠে গলার নলি কাটা ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সুজিতকে পাওয়া যায়। পুলিশ সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপর খবর পেয়ে সুজিতের স্ত্রী গিয়ে মৃতদেহ সনাক্ত করেন। এরপর মৃত সুজিতের স্ত্রী ললিতা দেবী থানায় সন্তোষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে সন্তোষকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার হয় জগু মল্লিক নামে আরেকজনকে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ এবং অস্ত্র আইনের ২৫/২৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। বিচার চলাকালীন জগু মল্লিকের মৃত্যু হয়। এই মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী ছিলেন। বুধবার বিচারক এই মামলার রায়দান করেন।