এই মুহূর্তে কলকাতা

যাত্রা, মঞ্চ, লোকশিল্পীদের জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক করতে সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস সরকারের।

কলকাতা , ২১ নভেম্বর:- অতিমারীর আবহে দীর্ঘ দিন ধরে রুজি-রুটির সংকটের মধ্যে পড়েছেন রাজ্যের শিল্পী ও কলাকুশলীরা। এবার, সব ধরনের স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি মেনে যাত্রা, মঞ্চ, লোকশিল্পীদের জীবন-জীবিকা আরও স্বাভাবিক করতে রাজ্য সরকার তাদের সব রকমের সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের যে কোনো ধরনের শিল্পী এবং শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করে আরো বেশি করে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে সব জেলার জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। পরে তিনি বলেন আবশ্যিকভাবে মাস্ক ব্যবহার এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বদ্ধ জায়গায় সর্বাধিক ২০০ জন পর্যন্ত জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হলেও এখন থেকে খোলা জায়গায় জমায়েত এর ক্ষেত্রে কোন সীমাবদ্ধতা থাকবে না। ফলে মেলা, প্রদর্শনী সহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

এই বিষয়ে সবাইকে সহযোগিতা করতে রাজ্যের তরফে কলকাতা পুলিশ কমিশনার সহ জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও মুখ্য সচিব জানিয়েছেন। মুখ্যসচিবের নির্দেশ, এবার সবার আগে মেলা-উৎসবের জন্য একটি ডিরেক্টরি তৈরি করা হবে। এজন্য নোডাল অফিসার হিসেবে থাকবেন পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কিংশুক ভট্টাচার্য। সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও জেলাগুলিকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য সমস্ত মেলা ও উৎসবের তালিকা তাঁর কাছে পাঠাতে বলেছেন আলাপনবাবু। ওইসব চিঠিতে মুখ্যসচিব বলেছেন, প্রত্যেক বছর শীতের মরশুমে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও জেলা নানা ধরনের মেলা বা উৎসবের আয়োজন করে থাকে। সরকারি দপ্তরগুলির কাজের নমুনা মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাজ্যের নানা ধরনের ক্ষুদ্রশিল্প, লোকশিল্প, হস্তশিল্প, খাদ্য বিপণন, ডেকরেটিং প্রভৃতির সঙ্গে যুক্ত মানুষের আয়ের পথ খুলে যায়।

চলতি তীব্র আর্থিক মন্দার পরিস্থিতিতে মেলা, উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ থেকে সরকার পিছতে পারে না। তাই এখন থেকেই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক এগনোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। অনুষ্ঠিতব্য মেলা বা উৎসব নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে আগাম তারিখ ও তথ্য সরকার হাতে নেবে। তার ভিত্তিতেই প্রকাশ করা হবে মেলা ডিরেক্টরি। এজন্য আগামী আড়াই মাস ধরে বিভিন্ন জায়গায় যেসব মেলা বা উৎসব হবে তার সময় সারণি, লোকপ্রসার শিল্পীসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত লোকজনের আনুমানিক সংখ্যা, বিক্রিবাটার সম্ভাব্য হিসেব ইত্যাদি কলকাতায় পাঠাতে হবে। ২৪ নভেম্বরের মধ্যে। নবান্ন সূত্রের খবর, এই ডিরেক্টরি দেখে কয়েকটি মেলা ও উৎসব মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করতে পারেন।