এই মুহূর্তে জেলা

কথিত আছে রানী রাসমনী মহানাদের মন্দির দেখেই দক্ষিণেশ্বরের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

হুগলি , ১৪ নভেম্বর:- প্রায় একশ নব্বই বছরের প্রাচীন হুগলির মহানাদের ব্রহ্মময়ী দক্ষিনা কালী পুজো। তান্ত্রিক মতে ১৮৩০ সালে মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তৎকালীন জমিদার কৃষ্ণচন্দ্র নিয়োগী। কথিত আছে রানী রাসমনী এই মহানাদের নয় চূড়ার মন্দির দর্শনের পরেই, তা দেখে দক্ষিণেশ্বরের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মহানাদের প্রাচীন এই কালী মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে বহু ইতিহাস। পঞ্চমুন্ড আসনের উপর দাঁড়িয়ে আছেন পাথরের তৈরী ভবতারিনী কালী মূর্তি। মূর্তির নিচে নেই শিব মূর্তি। মন্দিরের চার কোনে রয়েছে শিবলিঙ্গ। প্রতিদিন নয়ম করে দিনের বেলায় পূজো হয়। সন্ধ্যায় হয় সন্ধ্যারতি। শনি এবং মঙ্গলবার বিশেষ ভোগ দেওয়া হয়।

মাঘ মাসে প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো তাই মাঘ মাসের রটন্তী কালী পূজোর দিন সারাদিন, সারারাত ধরে চলে বিশেষ পূজো। তবে কালী পুজোর দিনও পুজোপাঠ চলে সারাদিন ধরেই। দূর দূরান্ত থেকে বহু ভক্তের সমাগম হয় মন্দিরে। ওই দিন অনিমানিক প্রায় চল্লিশ হাজার লোক মন্দিরে ভোগ গ্রহন করে থাকেন। এখনও প্রচলন রয়েছে মহানাদ কালী বাড়িতে মানসিক করলে তা পূরন হয়। প্রত্যেক অমাবস্যার দিন ছাগ বলী দেওয়ার প্রচলন আজও চলে আসছে। কৃষ্ণচন্দ্রের ষষ্ঠ পুরুষরা বর্তমানে মন্দিরের সেবাইত। বহ্মময়ী মায়ের নামে নব্বই বিঘা জমি রয়েছে, তা থেকেই সারা বছর পুজোপাঠ হয় মন্দিরে। কালী পুজোর সময় সকাল থেকে দুপুর, আবার রাত দশটা থেকে সারা রাত ধরে চলে পুজো। শুধু এই জেলা নয়, কালী পুজোর দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্ত সমাগম হয়।