এই মুহূর্তে জেলা

১০৮ টি নর মুন্ডুর খুলি ধীরে ধীরে সাজানো কালী মন্দিরের মায়ের কাছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১৪ নভেম্বর:- মন্দিরবাজার থানা এলাকায় দক্ষিণ বিষ্ণুপুর মহা শ্বশান এক সময়ে ঘন জঙ্গল এ ঘেরা ছিলো। বহু প্রাচীন কালের কথা বিষ্ণুপুরের এই মহা শ্বশানে কালী পূজার সময় জাগ্রত শ্বশান কালীর পূজা হতো। এক সময়ে এই কালী পূজার সময় বহু দূর দুরন্ত থেকে তান্ত্রিক ও সাধু সন্যসিরা আসতো শ্বশান কালী জাগাতে। আজ থেকে ১০৭ বছর আগে এই স্বসানে পাশে চক্রবর্তী বাড়িতে কালী পূজা চলাকালীন মা স্বপ্নে দেখা দেয়। তখন মা নির্দেশ দেয় যে আমাকে তোরা বাড়িতে পূজা করলে আমি সন্তুষ্ট হবো না। তোরা আমাকে বিষ্ণুপুর মহা স্বসানের পাশে জঙ্গল কেটে মন্দির প্রতিষ্ঠা করে দুবেলা আমাকে পূজা কর তবেই আমি সন্তুষ্ট হবো। তারপর মন্দির প্রতিষ্ঠা করে মা কালীর বিগ্রহ বসিয়ে সকাল সন্ধায় দুবেলা পূজা আরতী হয়। বর্তমানে এই মন্দিরের পুরোহিত শ্যামল চক্রবর্তী। প্রায় ৬৪ বছর ধরে এই মন্দিরে পূজা থেকে সকল কাজকর্ম শ্যামল বাবু করে থাকেন।

এই মন্দিরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য মায়ের মূর্তির পিছনে ১০৮ টা নর মুন্ডুর খুলি থরে থরে সাজানো রয়েছে। এই নর মুণ্ডুর খুলি গুলো তন্ত্র সাধনার কাজে ব্যাবহার হতো। মায়ের সামনে পঞ্চ মুন্ডির আসনে বসে পূজা ও তন্ত্র সাধনা করা হয়। দক্ষিন ২৪ পরগনার সবচেয়ে বড়ো তন্ত্র সাধনা করার পীঠস্থান হলো মন্দির বাজার থানার দক্ষিন বিষ্ণুপুর কালী মন্দির। প্রতিবছর কালী পূজায় দূর দূরান্ত থেকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার ভক্ত সমাগম হয়। তবে এবার করোনা আবহে সে ভাবে ভক্তরা নাও আসতে পারে কিন্তু মায়ের পূজা যাকজমোক ভাবে হবে। মন্দির কমিটি থেকে জানা যায় কালী পুজার দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্যানিটাইজার করে মাস্ক দেওয়া হবে। সব ভক্তরা যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলে সেটাও গুরুত্ব সহকারে দেখবে মন্দির কমিটি।