এই মুহূর্তে জেলা

মুখ্যমন্ত্রীকে ইমনের ট্যুইটের পরই ব্যবস্থা নিল প্রশাসন। বর্ষার পরই হবে পাকা রাস্তা।

হাওড়া , ৭ আগস্ট:- গত ৪৮ ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছে শহর এবং শহরতলির একাধিক এলাকা । কোথাও জল নেমেছে । কোথাও বা এখনও জমে রয়েছে বৃষ্টির কাদাজল । শহর কলকাতার পাশাপাশি জল জমার সমস্যায় জেরবার জেলার বাসিন্দারাও । তবে এই বর্ষায় হাওড়া জেলার লিলুয়ার ছবি রীতিমতো আঁতকে ওঠার মতো । কিছু রাস্তায় খানাখন্দ দেখলে বোঝা দায় যে আদপেও ওটা রাস্তা ছিল । রাস্তার মাঝে মাঝে গর্তে জমে রয়েছে কাদাজল। যাতায়াতের পক্ষে এইসব রাস্তা অত্যন্ত ঝুঁকিবহুল । মূলত লিলুয়ার পশ্চিম ভাগ অর্থাৎ জিটি রোডের দিক নয় বরং লিলুয়া স্টেশনের আর এক প্রান্তের ছবিটা এমনই ভয়ঙ্কর । মঙ্গলবার এবং বুধবার সারাদিনই চলেছে বৃষ্টি । আর তার জেরে আরও প্রকট হয়েছে রাস্তার বেহাল দশা । এই নিয়েই টুইট করেছেন লিলুয়ার ক্ষুব্ধ বাসিন্দা ইমন চক্রবর্তী । বঙ্গের এই তারকা গায়িকা লিলুয়ার আদি বাসিন্দা ।

বছরের পর বছর ধরে ভাঙা রাস্তা আর বৃষ্টির জল জমার সমস্যায় জেরবার হন তিনি । তবে এই বর্ষায় সমস্যা মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। ইমনের বাবা শঙ্কর চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আমার বাড়ির সামনের রাস্তায় যা অবস্থা ভয়ে বেরোতে পারি না , যদি পড়ে গিয়ে অঘটন ঘটে ! এ ছাড়াও বাড়ির ঠিক সামনেই একটা খালি জমি রয়েছে । দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় সেখানে ঘন জঙ্গল রয়েছে। বৃষ্টি হলেই জলকাদা জমে একাকার হয়ে । চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। শুধু তাই নয় , ভাঙা রাস্তায় জল জমার ফলে স্কুটি-সাইকেল-টোটো উল্টে যাওয়া , পড়ে গিয়ে কারও হাত-পা ভাঙা এসব তো লেগেই রয়েছে । এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যায় কারও কোনও হেলদোল না দেখে এ বার তাই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেই টুইট করেছেন আমার মেয়ে ইমন। ছবিতে তুলে ধরেছেন বেহাল রাস্তা আর এলাকাবাসীর সমস্যার কথা। সাহায্য চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।

এদিকে , এরপরই ব্যবস্থা নিতে তৎপর হয় প্রশাস ন। বৃহস্পতিবার হাওড়ার ওই এলাকা পরিদর্শনে যান ক্রীড়া রাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষীরতন শুক্লা । সঙ্গে ছিলেন হাওড়ার পুর কমিশনার ধবল জৈন । ওই এলাকায় গিয়ে ইমন সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন মন্ত্রী । পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি । কেন এইরকম রাস্তা খারাপ তা এলাকার বাসিন্দাদের কাছেও এদিন জানতে চান। পুরো এলাকাটি ঘুরে দেখে দ্রুত রাস্তা মেরামতের আশ্বাস দেন । সেইসঙ্গে পুর কমিশনার ধবল জৈনকে শীঘ্রই রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু করার নির্দেশও দেন তিনি । মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন বলেন , পুরো এলাকাটি ঘুরে দেখলাম । মাঝেমধ্যেই এই রাস্তা হয় । কিন্তু কিছুদিনের ভিতরেই তা আবার ভেঙেচুরে যায়। এবার তেমনটা যাতে না হয় তা দেখা হবে । শীঘ্রই এই রাস্তায় প্যাচ ওয়ার্ক করে সারিয়ে দেওয়া হবে । বৃষ্টি বন্ধ হলে স্থায়ীভাবে এইন রাস্তা মেরামত করা হবে।