এই মুহূর্তে জেলা

ভুয়ো ডিগ্রি ব্যবহার করে প্রতারণা , হাওড়ায় চিকিৎসক ধৃত।

হাওড়া ,১০ জুন:- ভুয়ো ডিগ্রি ব্যবহার করে নিজেকে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে চেম্বার খুলে বসা এক ‘চিকিৎসক’কে গ্রেপ্তার করল হাওড়ার ব্যাঁটরা থানার পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে হাওড়ার দেশপ্রাণ শাসমল রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানায় ধৃতের নাম এ কে রায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। দেশপ্রাণ শাসমল রোডে তিনি চেম্বার চালাতেন। দিন কয়েক আগে এক মহিলা চোখের নিচে স্কিনের সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে চিকিৎসা করাতে যান। কিন্তু চিকিৎসকের নিজের দেওয়া ওষুধ ব্যবহার করে ওই মহিলার সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরই সোমবার ওই মহিলার পরিবার ব্যাঁটরা থানায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ মঙ্গলবার ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে। পুলিশি জেরায় তিনি বিস্তর অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। পুলিশ জানতে পারে তিনি এমবিবিএস চিকিৎসক নন।

কিন্তু ভুয়ো ডিগ্রি ব্যবহার করে প্রতারণা করতেন। পাশাপাশি তিনি তাঁর ডাক্তারি ডিগ্রির কোনও কাগজপত্রও পুলিশকে দেখাতে পারেননি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ভুয়ো ডিগ্রি ব্যবহার সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে ধৃত চিকিৎসকের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। ব্যাঁটরা থানা সূত্রের খবর, অভিযোগ আসে গত সোমবার। তদন্তে নেমে জানা যায়, এ কে রায় নামের ওই চিকিৎসক কয়েক বছর ধরেই প্র‍্যাকটিস করছেন। তিনি এমবিবিএস চিকিৎসক নন। এমবিবিএসের কোনও রেজিষ্ট্রেশন ওনার নেই। কিন্তু তিনি এমবিবিএস ডিগ্রি ব্যবহার করছিলেন। এক মহিলা ওনার কাছে চিকিৎসা করাতে এসে ওনার থেকে কেনা ওষুধ ব্যবহার করে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। মহিলার বাবা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। মঙ্গলবার গ্রেফতার হন চিকিৎসক। প্রতারণা, ভুয়ো ডিগ্রি ব্যবহার সহ মেডিক্যাল আইনের ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।