এই মুহূর্তে জেলা

ভোট চাইতে এসে বিজেপি টাকা দিলে নিয়ে নেবেন, ওটা আপনার টাকা, আরামবাগে অভিষেক।

হুগলি, ১৫ মে:- আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিতালী বাগের সমর্থনে পুরশুরার আদ্যামা কোল্ড স্টোরেজ মাঠে এক বিশাল নির্বাচনী জনসভা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ ও রাজ্য সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন অভিষেক। আরামবাগের সভা থেকে অভিষেক বলেন,‘আগামী ২০ তারিখ দিনটা ঐতিহাসিক। ২০১১ সালের ২০ মে ৩৪ বছরের বাম অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে প্রথম বার বাংলার মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন। আর এই ২০ তারিখ আপনারা ভোট দিতে যাবেন। এটা কাকতালীয় নয়।’‘বিজেপিকে ভোট দেওয়া মানে খাল কেটে কুমির আনা।

বিজেপি সরকার ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। জনবিরোধী বিজেপি, গরিববিরোধী বিজেপি। ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছেন যাঁরা, তাঁদের ২০ তারিখ উচিত শিক্ষা দেওয়ার দিন।’‘আরামবাগে প্রধানমন্ত্রী দু’মাসে দু’বার এসেছেন। কেন? নির্বাচন বলে। কোভিডের সময় ক’বার দেখেছেন? আমি শুনেছি, কৃষিজমি নষ্ট করে প্রধানমন্ত্রী সভা করেছেন।’এদিন অভিষেক স্পষ্ট জানান, ‘আপনাদের লক্ষ্মীর ভান্ডার আমরা বুক দিয়ে আগলে রাখব। আপনার লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করার ক্ষমতা কোনও নেতার নেই। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি চাইলে বন্ধ করতে চাইলেও পারবেন না।’মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করেন অভিষেক।

তাঁর কথায়,‘২০১৪ সালে রান্নার গ্যাসের দাম ছিল ৪০০ টাকা, এখন হাজার টাকা। পেট্রল-ডিজেল, তেল, ডিম, রসুন সব কিছুর দাম বেড়েছে।’‘মহিলাদের অপমান করেছে বিজেপি। সন্দেশখালি নিয়ে কী ভাবে বাংলার মান-সম্মান নষ্ট করেছে? বিজেপি নেতাই বলছে, সন্দেশখালিতে কোনও ধর্ষণ হয়নি। আমরা মহিলাদের দু’হাজার টাকা দিয়ে ভুয়ো অভিযোগ করিয়েছি, তৃণমূলের নেতাদের গ্রেফতার করানোর জন্য। সারা দেশের কাছে বাংলার সম্মান নষ্ট করেছে।’‘তফসিলি জাতিদের উপর অত্যাচার সবচেয়ে বেশি হয়েছে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে। তার পর মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান। সব রাজ্যেই সরকারে বিজেপি।’

এই নির্বাচনে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন, আবাস এবং যে আপনার পাশে থেকেছেন, তাঁকে সামনে রেখে ভোট দিন। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য আমাদের সরকার ওদেরকে (কেন্দ্র সরকার) অনেক বার বলেছে। কিন্তু কিছু হয়নি।’‘সন্দেশখালিতে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বলছেন প্রতি বুথে মদ খাওয়ানোর খরচ লাগবে পাঁচ হাজার টাকা। বাংলায় ৮০ হাজার বুথ আছে। তা হলে বিজেপির খরচ হবে ৪০ কোটি টাকা।’’ অভিষেক এদিন সভা থেকে আরো বলেন,‘ভোট চাইতে এসে বিজেপি যদি টাকা দিতে আসে, তবে আপনি টাকাটা নিয়ে নেবেন। ওটা আপনার টাকা।’