এই মুহূর্তে জেলা

হুগলিতে কংগ্রেসের ভাঙ্গন , পাণ্ডুয়ার পঞ্চায়েত সদস্য সহ বেশ কিছু কর্মীর তৃণমূলে যোগদান ।

তরুণ মুখোপাধ্যায়, ৭ জুন:- পান্ডুয়া বিধানসভায় এলাকার প্রায় 50 জন সক্রিয় কংগ্রেস কর্মী একজন পঞ্চায়েত সদস্য সহ ৫০ জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। রবিবার শেওড়াফুলির সত্যজিৎ রায় ভবনে এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ যাদব । এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দিলীপবাবু বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যজুড়ে যে উন্নয়নের ধ্বজা উড়িয়েছেন তাতে সুফল পাচ্ছেন। রাজ্যের আপামর জনগণ করোনা এবং আমফানের মত দুর্যোগেও যখন আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে রাজ্যবাসীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাতে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন তৃণমূল স্তরের কর্মীরা ।

তারা দেখছেন যখন বাংলার মানুষ অসহায় অবস্থায় রয়েছেন সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়ে মানুষের সেবার কাজে নিয়োজিত করেছেন অথচ বিজেপি সহ কংগ্রেস এবং সিপিএমরা কি করছে , তারা ঘরের কোণে এতদিন চুপচাপ বসে ছিলেন এটা মেনে নিতে পারেনি কংগ্রেস কর্মীরা মেনে নিতে তাই আজ পান্ডুয়ার পঞ্চায়েতের একমাত্র কংগ্রেস সদস্য রফিকা বেগম সহ ৫০ জন কংগ্রেস কর্মী তৃণমূলের শামিল হয়ে তারা বাংলার এই দুর্দিনে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার শপথ নিলেন। আজ সারাদিন আজ শেওড়াফুলির সত্যজিৎ রায় ভবনে চাঁপদানি বিধানসভা কেন্দ্রের কো-অর্ডিনেটর এবং জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির তীব্র নিন্দা করেন ।

তিনি বলেন যখন বাংলায় এই দুঃসময়ে মানুষ দিশেহারা এবং করোনা ও আমফনের মত জোড়া বিপর্যয় মানুষের প্রাণ বাঁচানো যায় সেই সময় বিজেপির একদল অবিবেচক নেতা তারা উঠে পড়ে লেগেছেন কি করে বাংলাকে অপমান করা যায় ।করোনার আবহে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত তিন মাস ধরে মানুষের পাশে থেকেছেন তার নির্দেশে রাজ্যের কোনায় কোনায় তৃণমূল কর্মীরা দুস্থ মানুষের অসহায় মানুষের পাশে থেকেছেন সেই সময় এই সমস্ত বিজেপি নেতৃবৃন্দ তারা ঘরের কোণে বসে ছিলেন। এখন সুযোগ বুঝে তারা ময়দানে নেমে পড়েছেন বাংলার মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে এবং কিছু কিছু জায়গায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার কাজে লিপ্ত হয়েছেন। ফেক ভিডিও ফেক নিউজ এ তারা সোশ্যাল মিডিয়া ভরে দিচ্ছে এটা অত্যন্ত অন্যায় এবং অবিবেচকের মত কাজ। আজকে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শেওড়াফুলি বৈদ্যবাটি পুরসভার প্রশাসক অরিন্দম গুইন , সুবীর ঘোষ সহ অন্যান্য নেত্রীবৃন্দ।