এই মুহূর্তে জেলা

সায়ন্তন কে ঢুকতে বাঁধা ভদ্রেশ্বরে , প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভে লকেট- সায়ন্তন সহ বিজেপি কর্মীরা ,শান্ত জেলাকে অশান্ত করতেই এরা আসে- দিলীপ।

হুগলি, ৫ জুন:- তেলিনিপাড়া কাণ্ডে বিজেপির দুই সাংসদকে এদিন চুঁচুড়া থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেই মতো হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও ব্যারাকপুরের সাংসদ হুগলির চুঁচুড়ায় চন্দননগর পুলিশের সদর দফতরে হাজির হন। তাঁরা পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল এদিন। অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে থাকা স্থানীয় কয়েকজন বিজেপি নেতাকে ভিতরে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। এরপরই সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা পুলিশ দফতরের সামনেই ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। পরে অবশ্য বিজেপির দুই সাংসদ অর্জুন সিং ও লকেট চট্টোপাধ্যায় হাজিরা দিয়েছেন কমিশনারের দফতরে।দলীয় কর্মীদের ফাঁসানোর মতো একাধিক অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার হুগলির ভদ্রেশ্বর থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল বিজেপির। সেখানেই যাচ্ছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু।

জিটি রোডেই তাঁকে আটকে দেয় বিশাল পুলিশবাহিনী। এরপরই সায়ন্তন বসু পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। সায়ন্তন বসুর বক্তব্য, এই রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। বারবার বিজেপি নেতাদের বাধা দেওয়া দেখেই সেটা প্রমাণিত হচ্ছে। অন্য রাস্তা দিয়েই ঘুরে ভদ্রেশ্বর পৌঁছান লকেট। তাঁকেও ভদ্রেশ্বর থানার সামনেই আটকে দেয় পুলিশ। তিনিও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাস্তায় অবরোধে বসে পড়েন লকেট চট্টোপাধ্যায় ও সায়ন্তন বসু। তাঁর বক্তব্য, এটা কোন দেশের গণতন্ত্র ? এলাকার সাংসদকেই দিকে দিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মানুষের রায়ে জিতে আসার পরও প্রশাসন যোগ্য সম্মান দিচ্ছে না। তিনি বলেন এবার বাংলা থেকেই তৃণমূল কে উৎখাত করবে মানুষ। পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলেও পুলিশ কে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে জানা কোনো কর্মী যদি তাদের হেনস্তার স্বীকার হয় আগামী দিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে। পাশাপাশি জেলার তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন লকেট সহ বিজেপি নেতারা জেলায় এলেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। যখন তেলিনিপাড়া শান্ত হয়ে গেছে ঠিক সেই সময় এসে আবার নতুন করে উস্কে দিয়ে অশান্তি , বিশৃঙ্খলা ,গন্ডগোল করার চেষ্টা করছে।