স্পোর্টস ডেস্ক,১৭ মে:- দেশের মধ্যে কার্যত করোনার মাস্টার জোনে পরিণত হয়েছে মহারাষ্ট্র। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দেশের সব রাজ্যকে অনেক পিছনে ফেলে মৃত্যুপুরীর চেহারা নিয়েছে বানিজ্য নগরী। ফলে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেট স্টেডিয়াম ওয়াংখেড়ে এখন পরিণত হতে চলেছে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে। দেশে করোনা প্রবেশ না করলে এই সময় এই স্টেডিয়াম দর্শকদের উন্মাদনায় জমজমাট হয়ে উঠত। আইপিএলে নিজেদের পছন্দের ক্রিকেটারদের জন্য এই মাঠে বসেই গলা ফাটাতেন হাজার হাজার মহারাষ্ট্রের ক্রিকেট ভক্তরা। উল্লেখ্য ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ২৮ বছর পর ওডিআই বিশ্বকাপ জেতে ভারত। অথচ ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের মাঠ এবার করোনা লড়াইয়ে খুলে দেওয়া হচ্ছে। দেশ থেকে এখন ক্রিকেট কেড়ে নিয়েছে করোনা। যে পরিস্থিতিতে করোনা যুদ্ধে এবার লড়াইয়ে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম।
রাজ্যবাসীর সংকটে বৃহানমুম্বই মিউনিসিপাল করপরেশন অর্থাৎ বিএমসি মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামকে কোয়ারান্টাইন সেন্টার করতে চেয়ে মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি পাঠিয়েছে। মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কোয়ারান্টাইন সেন্টার তৈরির ব্যপারে আশ্বাস দিয়েছে। করোনা সংকটে রাজ্যের মানুষদের চিকিৎসার জন্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সবরকম সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে। উল্লেখ্য এর আগে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল স্টেডিয়ামটি কোয়ারান্টাইন সেন্টার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএমসি। এমনকি কলকাতার ইডেন গার্ডেনকেও প্রয়োজনে কোয়ারান্টাইন সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করার জন্য রাজ্য সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে সিএবি। যদিও বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা এখনও তুলনামূলক ভাবে কম।