এই মুহূর্তে খেলাধুলা

ছেলের সঙ্গে খেলা, আর রহস্য রোমাঞ্চে মজে অনুষ্টুপ মজুমদার।

 

 

সৌরভ রায়,৮ মে:- দেশজুড়ে লকডাউন। ফলে ব্যাট হাতে মাঠে নেমে চার-ছয় হাঁকানো এখন অতীত। বাড়ির চার দেওয়ালেই এখন সীমাবদ্ধ জীবন। কবে আবার ময়দানের সবুজ ঘাসে নেমে প্রাণ খুলে নিশ্বাস নিতে পারবেন তা অজানা ক্রিকেটারদের। চন্দননগরের ছেলে হলেও, কলকাতার ফ্ল্যাটেই এখন স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন বাংলার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান অনুষ্টুপ মজুমদার। সিএবির ক্লাব ম্যাচ বা অনুশীলন না থাকায় ফিটনেস কমে যাচ্ছে। আবার সবটাই শূণ্য থেকে শুরু করতে হবে বলেই মনে করেন সকলের প্রিয় রুকু। তাও নিজেকে কিছুটা ফিট রাখতে প্রতিদিন সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে বাড়িতেই একটু ট্রেনিং করছেন। এছাড়া বাড়িতে ক্লাস ওয়ানে পড়া ছেলের সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছেন অনুষ্টুপ। এখন ছেলের স্কুল বন্ধ থাকায়, অনলাইনেই স্কুল থেকে হোমওয়ার্ক পাঠাচ্ছে। ছেলেকে হোমওয়ার্ক করাতে সাহায্য করছেন বাবা। এছাড়া ছেলের সঙ্গে ঘরে বসে কখনও দাবা খেলছেন, আবার কখনও ক্রিকেট বা ফুটবল। গান শুনতে ও বই পড়তে ভীষণ পছন্দ করেন রুকু।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                                               সারা বছর খেলার চাপে সেই সুযোগ হয়ে ওঠে না। এখন গান শোনার পাশাপাশি বিভিন্ন গল্পের বই পড়ছেন। জয় বাবা ফেলুনাথ সিনেমায় আমরা দেখেছিলাম রহস্য রোমাঞ্চ গল্পের প্রতি আকৃষ্ট ছোট শিশু রুকুকে। ঠিক তেমনই সিনেমায় নয়, বাস্তবে ছোট থেকেই গোয়েন্দা গল্পের প্রতি প্রবল আকর্ষণ বাংলার তারকা ব্যাটসম্যান রুকুর। একসময় গোয়েন্দা হওয়ার স্বপ্নও দেখেছিল রুকু। গোয়েন্দা হওয়ার সেই ইচ্ছা পূরণ না হলেও সুযোগ পেলেই গোয়েন্দা গল্পের বই নিয়ে বসে যায় রুকু। ফেলুদা, ব্যোমকেশ থেকে পাশ্চাত্য লেখকদের রহস্য গল্প মন দিয়ে পড়ছেন অনুষ্টুপ। লকডাউনের মধ্যে কিছুদিন আগেই জন্মদিন ছিল রুকুর।তবে এবারের জন্মদিনটা গৃহবন্দি হয়েই কাটল অনুষ্টুপের। বাড়িতে বানানো কেক কেটে পরিবারের সঙ্গে সেলিব্রেশন করেন। তবে ৩৬ তম জন্মদিনে অনলাইনেই বাবা-মায়ের আর্শীবাদ নিতে হল তাঁকে। কারণ বাবা-মা রয়েছেন চন্দননগরের বাড়িতে। উল্লেখ্য করোনা পরিস্থিতিতে চন্দননগরের বেশ কিছু দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন অনুষ্টুপ। বেশ কিছু দুঃস্থ মানুষকে চাল,ডাল,সব্জি সহ খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন তিনি। এছাড়াও রাজ্য সরকারের করোনা তহবিলেও আর্থিক সাহায্য করেছেন।