এই মুহূর্তে জেলা

করোনা রোগে আক্রান্ত হওয়া কি অভিশাপ ?

হুগলি,৫ মে:- করোনা রোগে আক্রান্ত হওয়া কি অভিশাপ ? তাই কি এমন অমানবিক ব্যবহার করা হলো প্রশাসনের পক্ষ থেকে করণা আক্রান্ত ব্যক্তির ? গত ২৩ তারিখ গটুর লক্ষণ মালিকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে চুঁচুড়া হাসপাতালে। লক্ষণ বাবু ১৯ তারিখ শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসে।ডাক্তার তাকে প্রাথমিকভাবে ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছিল কিন্তু তার শ্বাসকষ্ট থাকায় সে বারবার হাসপাতালে ভর্তি হতে চায় এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে বসে থাকে হাসপাতালে বাইরে। আমরা খবর করার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি নেয়া হয়েছিল। এবং তারপরই সোয়াব টেস্টে ধরা পড়ে তার করোনা পজেটিভ। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঙ্গুর হাসপাতাল।সেখানেই তার চিকিৎসা চলতে শুরু হয়। এছাড়াও তার বাড়ির আট জনকে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীরামপুর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে।বর্তমানে তারা এখনো কোরেন্টিনে সেন্টার রয়েছে পরিবারের লোক।লক্ষণ বাবু বর্তমানে সুস্থ হয়েছেন। গতকাল রাত্তিরে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে গোটুর ব্রিজের কাছে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় ওই এম্বুলেন্স।যেখান থেকে তার বাড়ি দূরত্ব অনেকটাই। যদিও তিনি তাদের বলেছিলেন বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার জন্য কিন্তু এম্বুলেন্স তা শুনতে চাইনি তাকে সেখানেই নামিয়ে দিয়ে যায়।সবথেকে বড় বিষয় সেই সময় এখানে কোনো প্রশাসনিক এর কর্তারা ছিলেন না।তিনি ওই রাতে পড়েন অথৈ জলে।কারণ তার বাড়ির লোক রয়েছে কোরেন্টিন সেন্টারে।তিনি বাড়ি কিভাবে ঢুকবেন সেটাই তিনি ভেবে পাচ্ছিলেন না।যদিও তিনি শারীরিকভাবে এখনো দুর্বল। তবু তিনি বাড়ি পৌঁছান এবং প্রতিবেশীদের সাহায্যে ঘরে তালা ভেঙে ঢোকেন বাড়িতে।কিন্তু বাড়ি ঢুকেই তিনি পড়েন আরো বিপদে কারণ তিনি খাবেন কি ? রাতে মুড়ি ও জল খেয়ে কাটান তিনি। বর্তমানে তিনি রয়েছেন তার বাড়িতে নেই খাবার দাবার নেই পরিবারের লোক একাকী চরম কষ্টের মধ্যে রয়েছেন তিনি।তার কাছে এই বিষয়টি যথেষ্টই বেদনাদায়ক সংসারের দায়ভার সামলাতে সবজি ব্যবসা তিনি করতেন। মাঠে সবজিও চাষ ছিলো তার,সেগুলো বিক্রি করার তাগিদেই এলাকার বাজারে সবজি বিক্রি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন তিনি।কিন্তু তারপর সরকারি তৎপরতা ছিল কিন্তু সুস্থ হওয়ার পর আর দেখা নেই কারুর।

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.