সোজাসাপটা ডেস্ক,১ মে:- মদের থেকে আয় বন্ধে সরকারি কোষাগারে টান পরেছে । তাই বিভিন্ন রাজ্য গুলি চাইছে মদের দোকান খোলা হোক। লকডাউনে মদ বিক্রি বন্ধ হওয়ায় মদ্যপায়ীদের যতই অসুবিধে হোক, বিরাট সমস্যায় পড়েছে দেশের রাজ্যগুলি। এই মদের আবগারি শুল্ক থেকেই প্রধানত আয় করে রাজ্যগুলি। এখনও পর্যন্ত দেশের একমাসেরও কম সময়ে সব রাজ্য লোকসান করেছে ২৪ হাজার ৪৬০ কোটি টাকারও বেশি। কেন্দ্র ২০১৯ সালে ১ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে আবগারি শুল্ক থেকে। ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন চলাকালীন রাজ্যগুলির ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২৭,১৭৮ কোটি টাকা। এই শুল্ক এবং পুরো ভ্যাটের অধিকারই রাজ্যগুলির। মদ ও পেট্রোলকে ভ্যাটের অধিকার রাজ্যকে দেওয়ার ফলেই তারা কর্মীদের বেতন বা কৃষকদের সাহায্য করতে পারে। বহু রাজ্য তাদের আয়ের ২০ ভাগই মদ বিক্রি করেই যোগাড় করে। এই বছরে পাঞ্জাবের টার্গেট ছিল আবগারি থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা রোজগার করার। ইতিমধ্যেই মদের দোকান খোলার জন্য চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। কেরলে সরকার মদ না পেয়ে আটজনের আত্মহত্যার ঘটনার পর মদের দোকান খোলার উদ্যোগ নিয়েছিল। তা হয়নি। এমনকী, বিজেপি শাসিত কর্নাটকও তাদের আয় বাড়াতে মদের দোকান খোলার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। একই আবেদন জানিয়েছে হরিয়ানা, গোয়ার মতো রাজ্যও। মদ না পেয়ে নকল মদ খেয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। আবার শুল্কের অভাবে রাজ্যগুলির কোষাগার শুকিয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ রাজ্যের কর্মচারীদের মাইনে দেওয়ারও অবস্থায় নেই। তাই শুধু সরকারি কোষাগার ভরার জন্য নয়,এর সাথে যুক্ত থাকা বিভিন্ন কর্মীদের দিকে তাকিয়ে এবং মদ্যপায়ীদের কথা ভেবে এবং অবিলম্বে মদের দোকান খোলার জন্য দরবার করছেন রাজ্যগুলি।