এই মুহূর্তে জেলা

স্যানিটাইজ করার নামে বাড়ি বাড়ি টাকা চাওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে।

সুদীপ দাস,২৫ এপ্রিল:- এবারে এলাকা স্যানোটাইজ করার নামে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলী-চুঁচুড়া পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে গঙ্গাতলা জ্যোতিষ সরনীতে। অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেত্রীর নাম শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্য্য। স্থানীয়দের বক্তব্য শুক্রবার রাতে শর্মিষ্ঠা দেবী এলাকারই কয়েকজনকে নিয়ে বাড়ি-বাড়ি যায়। এলাকা পরিষ্কার এবং ব্লিচিং পাউডার দেওয়ার নামে বাড়ির লোকদের কাছ থেকে ৫০টাকা করে দাবী করেন। বলা হয় শনিবার এসে সেই টাকা নেওয়া হবে। স্থানীয়দের বক্তব্য রাস্তা পরিষ্কারের জন্য তো পৌরসভা আছে। লকডাউনের জেরে মাস খানেকের উপরে কাজ বন্ধ। কি খাবো তার ঠিক নেই, এখন যদি রাস্তা পরিষ্কারের নামে টাকা চাওয়া হয় তাহলে কি করে দেবো ? যদিও এবিষয়ে অভিযুক্ত শর্মিষ্ঠা দেবী ৫০টাকা করে চাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন পৌরসভা ওই এলাকা পরিষ্কার করতেই আসেনা। তাই বর্তমান করোনা আবহে এলাকা পরিষ্কার রাখতে ওই টাকা চাওয়া হয়েছিলো। যা দিয়ে এলাকা পরিষ্কার করতাম।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                      তবে কাউকে টাকা দেওয়ার জন্য জোর করা হয়নি বলে শর্মিষ্ঠা দেবীর দাবী। এদিকে এলাকারই একশ্রেনীর মানুষ বলেন এলাকা পরিষ্কার হয়না। তাই শর্মিষ্ঠা দেবীর উদ্যোগকে তাঁরা সমর্থন করেন। অন্যদিকে এবিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের অর্পিতা সাহা বলেন শর্মিষ্ঠা দেবীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। কারন পৌর কর্মীরা ওই এলাকা নিয়মিত পরিষ্কার করেন। আর টাকা চাওয়ার বিষয়টি তিনি দলীয় নেতৃত্বকে জানাবেন। এদিকে এবিষয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন লোকের কাছ থেকে পয়সা নিয়ে পৌরসভা কাউকে এলাকা পরিষ্কারের জন্য ঠিকা দিয়ে রাখেননি। তিনি শর্মিষ্ঠা দেবীর নাম না করে চাঁচাছোলা ভাষায় বিধায়ক বলেন আমার বিধানসভা এলাকায় ওইরকম তৃণমূল করা কর্মীর সংখ্যা কুড়ি হাজার। তা সেই ২০হাজার কর্মীদের মধ্যে কে চোর, কে ছ্যাঁচোর তা আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয়! বর্তমান সময় মানুষকে খাবার পৌঁছে দেওয়ার, টাকা চাওয়ার নয়! টাকা চাওয়ার বিষয়ে আমার কাছে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করে আমি থানায় জানিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করিয়ে দেবো ।

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.