এই মুহূর্তে জেলা

লকডাউনে চরম সমস্যায় দিন কাটাচ্ছে ধনেখালির তাঁত শিল্পীরা।


হুগলি,২৫ এপ্রিল:- চলছে লকডাউন। বন্ধ শাড়ির দোকান, বাজার। চরম সমস্যায় দিন কাটাচ্ছে ধনেখালির তাঁতশিল্পিরা। নেই তাঁত যন্ত্রের মাকুর খটাখট শব্দ। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাস্ততা নেই ধনেখালির তাঁতিদের। আগামী দিনগুলো কিভাবে কাটবে, সেই দু:চিন্তা গ্রাস করছে শিল্পীদের চোখে মুখে। চৈত্রের বিক্রির পর বৈশাখের শুরু থেকে দুর্গাপুজোর শাড়ি তৈরি শুরু হয় ধনেখালির তাঁতিদের। কিন্তু করোনার আবহাওয়ার কারণে চৈত্রের তৈরি শাড়ি পড়ে রয়েছে শিল্পীদের বাড়িতে। যে মহাজনরা শাড়ি কিনতে গ্রামে আসে, তাদের দেখা নেই। ফলে তৈরি শাড়ি বাড়িতে রয়েছে মজুত। ধনেখালি ব্লকের সোমসপুর/ ইনাথনগর/ হারপুর/ আলা/ হাজিপুর/ বৃন্দাবনপুর/ জয়কৃষ্ণবাটি গ্রামের 1000 জন পরিবার এই পেশায় যুক্ত রয়েছে। এই সমস্ত তাঁতশিল্পীরা সোমসপুর ইউনিয়ন কোঅপারেটিভ উইভার্স সোসাইটি সমবায় সমিতির মাধ্যমে শাড়ি তৈরির সুতো ও কাঁচা রঙ নিয়ে বাড়িতে শাড়ি তৈরি করে। শাড়ির গুণগত মান অনুযায়ী শিল্পীরা পারিশ্রমিক পেয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সমবায় সমিতি রয়েছে বন্ধ। শিল্পীদের চাহিদা অনুযায়ী নেই শাড়ি তৈরির সুতো ও রঙ। ফলে সমবায় সমিতির আশঙ্কা এই লকডাউনের সময়সীমা আরো বাড়লে কাঁচা মালের অভাবে বন্ধ হয়ে যাবে ধনেখালির তাঁতের শাড়ি তৈরির কাজ। এই চরম দূর্দশায় শিল্পীদের আর্থিক সাহায্য করার জন্য রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছে ধনেখালির তাঁতশিল্পীরা।

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.