তরুণ মুখোপাধ্যায়,২২ এপ্রিল:- কোন্নগরের এর জাগ্রত শকুন্তলা রক্ষাকালী মায়ের পুজো এবার মূর্তি এনে করা হবে। না ঘট পুজো এবারের মতন মায়ের আরাধনা করা হবে। আজ হুগলির কোননগরের শকুন্তলা কালী পুজো কমিটির সঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে । এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পুজো কমিটির সম্পাদক পাঁচু গোপাল বরাট জানালেন কোন্নগরে শকুন্তলা মায়ের পুজো অতিপ্রাচীন কাল থেকে এখানে পূজিত হয়ে আসছে। শুধুমাত্র কোন্নগর বাসী নয় সারা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার ভক্তপ্রাণ মানুষের আগমন ঘটে বৈশাখ মাসের অমাবস্যা তিথিতে। এই পুজো উপলক্ষে পুজোর দিন ভোর রাত থেকে দলে দলে মানুষ তাদের মনস্কামনা পূরণের আশায় গঙ্গায় স্নান সেরে মন্দিরে মায়ের বেদিতে জল ঢালেন। অনেকে মানত করে দন্ডী খাটেন। কিন্তু এবছর সারা দেশজুড়ে যে করোনা ব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে সেই কথা মাথায় রেখে পুজো কমিটি স্থির করেছে এবারে হবে সম্পূর্ণ অনাড়ম্বর ভাবে। থাকবেনা কোনো যাক জমক।পুজোর দিন রাতে মন্দিরের দরজা বন্ধ করে তিনজন ব্রাহ্মণ পুজো সারবেন। কেবল মাত্র । এই পুজোর একটা বিশেষ অঙ্গ হচ্ছে এখানকার ছাগ বলি। প্রতিবছর ১০০০ এর ও বেশি ছাগ বলি দেওয়া হয় মায়ের পুজোয়। কিন্তু এবাররে সে ব্যাপারে কড়াকড়ি করা হয়েছে ।
কেবল মাত্র নগরবাসীর মঙ্গলকামনায় একটি মাত্র ছাগ বলি দেয়া হবে পূজোর দিন। প্রশাসনের থেকে এই অনুমতি মিলেছে। অন্যদিকে এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল জানালেন প্রাচীন এই শকুন্তলা রক্ষা কালী মায়ের পুজো আবহমান কাল ধরে হয়ে আসছে। এই পুজো উপলক্ষে কোন্নগর বাসী এক বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকেন মায়ের আগমনের আসায়। কিন্তু এবছর যা পরিস্থিতি তাতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে পুজোর মূল অনুষ্ঠানটি ছাড়া বাদবাকি সমস্ত ব্যাপারগুলি স্থগিত থাকবে। বসবে না মেলা এবং মানুষদের আগমন ও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নম নম করে পুজো হওয়ায় মন খারাপ কোন্ননগর বাসীদের।স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য এবছর আমাদের মায়ের পুজো ১৩২ বছরে পড়লো । প্রতি বছর মায়ের আগমন উপলক্ষ্যে আনন্দের সারা পড়ে এলাকাবাসীর মধ্যে। কিন্তু এবার এমনি দুর্ভাগ্য, পৃথিবী জুড়ে নেমে এসেছে মারণ ব্যাধির করাল ছায়া । তাই এবার মায়ের কাছে কেবল একটাই প্রার্থনা মা তুমি এই ভয়াল ব্যাধি দূর করে মানুষের ঘরে শান্তি ফিরিয়ে দাও। যাতে আমরা সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি।