সুদীপ দাস,২১ এপ্রিল:- এক্সপেয়ারি ডেটের মাত্র ৬ দিন আগে দেওয়া হচ্ছে সরকারি রেশনের আটা। যা গ্রামের মানুষের কাছে ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশমতো জেলার বিভিন্ন জায়গায় চাল এবং আটা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সেইমতো চুঁচুড়া কোদালিয়া-২ নম্বর পঞ্চায়েতের সিমলা এলাকার মানুষ ইতিমধ্যে রেশন থেকে চাল সংগ্রহ করেছে গতকাল ও আজ চলছে আটা দেওয়ার প্রক্রিয়া। আর এই আটা সংগ্রহ করতে গিয়েই বেঁধেছে বিপত্তি। প্যাকেট করা আটার ওপর লেখা রয়েছে প্রস্তুতিকরণ তারিখ ২৭শে মার্চ, আর ব্যাবহারের সময়কাল ১ মাস , তাই এই আটা পাওয়ার পর হাতে থাকছে মাত্র ৬টি দিন আটা ব্যাবহারের জন্য। এমতবস্থায় এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে অসন্তোষ, যেসব বাড়িতে রয়েছে একাধিক কার্ড যারা ইতিমধ্যে ১৫ কিলো বা ২১ কিলো আটা পেয়েছেন তাদের অভিযোগ এই ভাবে আটা দেওয়ার কোনো মানে হয়না, ১৫ কিলো আটা ৬দিনে কি ভাবে শেষ করবো ? এতো বেশিরভাগটাই ফেলে দিতে হবে ! এলাকাবাসীর দাবি এই ভাবে আটা না দিয়ে তার পরিবর্তে চাল দিলেই সকলকে ভালো হয় ,কারণ আটা না রাখতে পারলেও চাল রেখে দেওয়া সম্ভব। এই বিষয়ে রেশন দোকানের কর্মচারীকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, যা সরকারি নির্দেশ আছে তিনি তাই পালন করছেন, সরকারি ভাবে যে আটা পাঠানো হয়েছে সেটাই বন্টন করা হচ্ছে, এর বাইরে তার কিছু করার নেই। অতঃপর ৬ দিনে আটা শেষ করার এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে চুঁচুড়ার সিমলা অঞ্চলের বাসিন্দারা।