তরুণ মুখোপাধ্যায়,২১ এপ্রিল:- হুগলি জেলা শাসকের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তি তে বলা হয়েছে জেলার বেশ কিছু পৌরসভার ওয়ার্ড গুলি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চলগুলি করোনা প্রবন এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে ।এই সমস্ত এলাকায় সরকারি নির্দেশিকা কঠোর মানা হবে। এই সব অঞ্চলের দোকান অফিস সব কিছু বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কিছু কিছু সরকারি অফিস এবং কয়েকটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহের অফিস এবং আইটি সেক্টরে কিছু কিছু অফিস ছাড়া সমস্ত কিছু বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে যেগুলি খোলা থাকবে তাতে 25% কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে । এ বিষয়ে বলতে গিয়ে রিষড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান বিজয় সাগর মিস্র জানান আমরা ডিএম সাহেবের এই সার্কুলার পেয়েছি। সমস্ত রকম ব্যাবস্থা আমাদের পৌর এলাকায় নেয়া হয়েছে । এবং যাতে মানুষের জমায়েত না হয মানুষ যাতে সোশ্যাল ডিস্টানসিং এর মধ্যে থাকেন সে ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও পুরসভার পক্ষ থেকে নগরবাসীকে সর্বদা সচেতন করা হচ্ছে , তার সঙ্গে সঙ্গে পুর এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় আমরা ড্রোনের সাহায্য নিচ্ছি। ড্রোনের পাঠানোর ছবি থেকে আমরা আইডেন্টিফাই করতে পারছি যে কোন কোন এলাকায় মানুষজন পথে বেরিয়েছেন।
এবং সেই সমস্ত এলাকাবাসীদের আমরা সতর্ক করছি । এবং প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন এখনো পর্যন্ত রিষড়ায় কোন করোনা পজিটিভ কেস নেই । তবে তিনি বলেন যে তার মানে এই নয় যে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকব । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কঠোর নির্দেশে এই সময় কোন রকম গাফিলতি চলবে না। মানুষকে ঘরে থাকতে হবে তার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে । এই দুর্দিনে এলাকার কোনো নিরন্ন মানুষ যেন না থাকেন।এবং আমরা সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছি। বলে জানালেন পুর প্রধান বিজয় বাবু।অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন ও এ ব্যাপারে যথেষ্ট কঠোর ।হুগলি জেলার যে সমস্ত বর্ডার গুলো রয়েছে সেখানে প্রতিনিয়ত নাকা চেকিং চলছে ।এবং অন্য জেলা থেকে এই জেলায় কেউ ঢুকছে কিনা সেই ব্যাপারে তারা কঠোরভাবে লক্ষ্য রাখছেন । এবং বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং এর সাহায্যে প্রচার চালাচ্ছেন। এবং মানুষকে বোঝানো হচ্ছে এই মারণ ব্যাধির বিপদ সম্বন্ধে।