উলুবেড়িয়া,১৬ এপ্রিল:- করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এবার ‘ডক্টর্স অন কল’ পরিষেবা চালু করল বাগনানের মুগকল্যাণ ব্লক হাসপাতাল। এর ফলে একটি নির্দিষ্ট ফোন নম্বরের মাধ্যমে রোগীরা হাসপাতালে না এসেও শারীরিক চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারবেন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই পরিষেবা চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বাগনান-২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বিনয় রায়। তিনি জানান মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে হাসপাতালে অন্যান্য চিকিৎসকরা রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ করবেন। প্রয়োজন মনে করলে যে কোনও রোগীকে হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করা হতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে আশা কর্মীদেরও রোগীর বাড়িতে পাঠিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যেতে পারে।
উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক তুষার সিংলা জানিয়েছেন হাওড়া গ্রামীণ এলাকার অন্যান্য হাসপাতালগুলিতেও এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে দূরদূরান্ত থেকে রোগীরা হাসপাতালে আসতে পারছেন না। মূলতঃ সেইসব রোগীদের কথা ভেবেই এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে। তাছাড়াও এই সিদ্ধান্তের ফলে যেমন বাইরে থেকে হাসপাতলে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা কমবে তেমনি বহিরাগত রোগীরাও সুরক্ষিত থাকবেন।সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই হেল্পলাইন নম্বরটি প্রচার করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এই নম্বরটি হল- ৯৭৭৫৬৪৩১১৬। হাসপাতালটিতে বর্তমানে বাগনান-২ পঞ্চায়েত সমিতির ৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকেন। এছাড়াও শ্যামপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতি এলাকার মানুষরাও এখান থেকে চিকিৎসা পরিষেবা পান। ৬২ শয্যার এই হাসপাতালটি এখন গ্রামীণ এলাকার মানুষের আশা-ভরসার কেন্দ্রস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন এই হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রায় ৫০০ রোগীর চিকিৎসা হয়। বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ব্লক হাসপাতালটিকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এই এলাকার অধিকাংশ মানুষই দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন। নার্সিংহোমে গিয়ে উচ্চমূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা কেনার ক্ষমতা তাঁদের নেই। সেই সব মানুষ এখন এই হাসপাতালটির উপরেই নির্ভরশীল। বাগনান-২ বিডিও সুমন চক্রবর্তী জানান হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা অব্যাহত রাখতে সরকারিভাবে সমস্ত রকম সহযোগিতা করা হবে।